আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সপ্তদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন। সংসদের অধিবেশন চলবে আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত। এই সময়সীমায় লোকসভা বসবে ৩০ বার এবং রাজ্যসভা বসবে মোট ২৭ বার।
অধিবেশনের আগে প্রথা অনুসারে রবিবার সংসদ ভবনে সর্বদলীয় বৈঠক হল। বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন।
দেশের খরা সমস্যা, কর্মসংস্থান, মহিলা সংরক্ষণ বিল ইত্যাদি নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা। তৃণমূলের তরফে দাবি তোলা হয়, মহিলা সংরক্ষণ বিল এই অধিবেশনে আনতে হবে। এই বিলের মাধ্যমে লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভায় এক–তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। উল্লেখ্য, গত লোকসভায় তৃণমূলের ৩৫ শতাংশ সাংসদ ছিলেন মহিলা, এবারে ৪১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি লঙ্ঘন করে রাজ্যগুলিকে নিশানা করা নিয়ে বৈঠকে সরব হন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন। তোলেন নির্বাচনী সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। নির্বাচনী বন্ডের দৌলতে বড় কোম্পানি ও বিত্তশালীরা বিজেপি–র তহবিল ভরে যাচ্ছে। বৈঠকে দাবি তোলা হয় রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে ভোটের খরচ জোগানোর এবং ব্যালট পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার। এছাড়া সংসদীয় কমিটি এড়িয়ে বিল পাশ করানো এবং যখন তখন সংসদকে এড়িয়ে অর্ডিন্যান্স আনার প্রবণতা বন্ধ করার দাবি তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, বৈঠকে তৃণমূল দাবি করেছে, অন্তত ৭৫ শতাংশ বিলকে স্ক্রুটিনির জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো উচিত। সর্বদলীয় বৈঠকে তারা বলেছে, চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ লোকসভায় ৭৫ শতাংশ বিলকে পাঠানো হয়েছে সংসদীয় কমিটিগুলিতে স্ক্রুটিনির জন্য। কিন্তু ষষ্ঠদশ লোকসভায় অর্থাৎ ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালে মাত্র ২৫ শতাংশ বিলের স্ক্রুটিনি হয়েছে। সংসদের এই অধিবেশনে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করানোর দাবি জানিয়ে তৃণমূল বলেছে, ষষ্ঠদশ লোকসভায় টিএমসির ৩৫ শতাংশ মহিলা এমপি ছিলেন। সপ্তদশ লোকসভায় তা বেড়ে হয়েছে ৪১ শতাংশ। একইসঙ্গে অর্ডিন্যান্সের প্রসঙ্গে তৃণমূল আজ সর্বদলীয় বৈঠকে বলেছে, সংবিধান মোতাবেক অধ্যাদেশ শুধুমাত্র ‘জরুরি অবস্থা’র হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু ষষ্ঠদশ লোকসভায় এর ভয়ানক ব্যবহার হয়েছে, যা গত ৭০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।