এবার তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে হুমকি চিঠি পাঠাল মাওবাদীরা। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়। যার ফলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শাসকদলের ওই নেতা।
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান উদয় সর। ওই গ্রামেই থাকেন তিনি। উপপ্রধানের কথায়, “শনিবার সকালে আমার কাছে একটি চিঠি আসে। চিঠিতে লেখা ছিল, সাবধান, রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন। আর তা না করলে কয়েক মাসের মধ্যে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেব। পার্টি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে নিন। না হলে ছ’মাসের মধ্যে স্ত্রীকে সাদা থানা পরিয়ে দেব। একইসঙ্গে চিঠির নিচে লেখা, মাওবাদী, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর।” ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।
একসময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে বহু নিরীহ মানুষকে খুন করেছে মাওবাদীরা। রাজনৈতিক নেতারাই শুধু নন, মাওবাদীদের হাত রহেকে রেহাই পাননি সাধারণ মানুষও। রাজ্যে পালাবদলের পর, পশ্চিম মেদিনীপুরের বুড়িশোলের জঙ্গলে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মারা যায় মাওবাদী নেতা কিষেণজি। এগরার জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল উপপ্রধানকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেই চিঠিতে কিষেণজিকে ‘হত্যা’র বদলা নেওয়ার কথা উল্লেখ করেছে মাওবাদীরা। আর তাতে আতঙ্ক আরও বেড়েছে।
দিন কয়েক আগে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে খোদ তৃণমূল বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধানকে হুমকি চিঠি পাঠিয়েছিলেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। চিঠি এসেছিল বিধায়কের বাড়ির ঠিকানায়। চিঠিতে লেখা ছিল, ‘খুব সাবধানে থাকবেন ও কোনওক্রমে মেখলিগঞ্জে মেখলিগঞ্জে যাবেন না। মিটিং-মিছিলে যাবেন না, ঘটনা ঘটবে।’ সেইসময় অভিযোগের তির ছিল বিজেপির দিকে। কিন্তু এবার সরাসরি হুমকি চিঠির সঙ্গে মাওবাদী যোগ পাওয়া গেল মেদিনীপুরে।