গোটা বাংলা জুড়ে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করছে গেরুয়া শিবির। , দলীয় অফিস দখল করা হচ্ছে। খুন করা হয়েছে, চারদিকে তাণ্ডব করছে বিজেপি। । নির্বাচনের পর সন্ত্রাস–কবলিত এলাকায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কর্মীদের বলেছেন, ‘মনীষীদের স্মরণ করতে হবে। তাঁদের জীবনী পড়তে হবে। জয় হিন্দ, জয় বাংলা স্লোগান দিতে হবে।’ তাই মনিষীদের স্মরণ করে তাঁদের ছবি দিয়ে গোটা শহরে দেখা যাবে হোর্ডিং।
রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর থেকে মনীষীদের ছবির কোলাজ করে শহরে হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে ‘জয় হিন্দ, জয় বাংলা’। বাংলা মোদের গর্ব’। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে নিজের ছবি পাল্টে মনীষীদের ছবি দেন। আজও তার পরিবর্তন হয়নি।
মমতা বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজি, বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়–সহ অন্য মনীষীরা বাংলার নবজাগরণের পুরোধা ছিলেন। সেই নবজাগরণকে বাংলার মাটিতে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। জোট বাঁধতে হবে সকলকে। বিজেপি–র মতো দাঙ্গাবাজ দল বাংলার মাটিকে কলুষিত করছে। নিয়ে আসছে অন্য সংস্কৃতি। বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতি আমরা ভুলতে দেব না। এ জন্য যত দূর যেতে হয় যাব। তিনি এ–ও বলেছেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রবীন্দ্রনাথ ও বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসানো হবে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জেলায় জেলায় মনীষীদের স্মরণ করে কর্মসূচি নিতে হবে।
তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর থেকে সাধারণ মানুষের জন্য রাস্তার পাশে বড় হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের বঙ্গজননী ও জয় হিন্দ বাহিনী তৈরি করেছেন। এরা সকলেই কর্মসূচি নিতে শুরু করেছে। বিজেপি–র সন্ত্রাসের প্রতিরোধের পাশাপাশি বঙ্গজননী ও জয় হিন্দ বাহিনী মনীষীদের স্মরণ করছে। অনুষ্ঠানে তাঁদের ছবি রাখা হচ্ছে। স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, ‘জয় হিন্দ, জয় বাংলা’। বিদ্যাসাগর স্মরণে বর্ণপরিচয় নতুন করে ছাপা হয়েছে। বিদ্যাসাগর সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ–সহ অন্য মনীষীরা যে সব কথা লিখে গেছেন, তা পুস্তিকা আকারে বের করা হয়েছে।