গত ২৩ মে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে তারা। যার ফলে দিকে দিকে বিজেপির গুণ্ডাবাহিনীর হাতে খুন হচ্ছেন একের পর এক তৃণমূল কর্মী। শনিবার সন্ধেবেলা যেমন দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন খানাকুল ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাত্র। তবে রবিবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে খানাকুলে দাঁড়িয়েই বিজেপির দিকে নিশানা করে তোপ দাগলেন যুব তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘যারা মনোরঞ্জন পাত্রকে খুন করেছে, তারা সবাই বিজেপি-র লোক। আগে এরাই সিপিএমের অনিল বসুর হয়ে এলাকা দখল করত। তবে আমি স্পষ্ট বলছি, যারা খুন করেছে তাদেরকে দিল্লীর বাবারাও বাঁচাতে পারবে না। আমি পুরোটা দেখছি।’
এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ খানাকুলে পৌঁছন অভিষেক। সঙ্গে ছিলেন আরামবাগ মহকুমার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা দিলীপ যাদব। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ কথা বলেন নিহত মনোরঞ্জনের দুই ছেলে, স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। আশ্বাস দেন, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। ক্ষুব্ধ অভিষেক এদিন বলেন, ‘সন্ত্রাসের পাল্টা সন্ত্রাস, রক্তের পাল্টা রক্তের রাজনীতি আমরাও করতে পারি। কিন্তু আমরা ওই রাজনীতি করি না। ১৬ জনের নামে এফআইআর হয়েছে। চার জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। দুষ্কৃতীরা ছাড়া পাবে না।’ যুব তৃণমূল সভাপতির কথায়, ‘গত আট বছরে এই এলাকায় কোনও রক্তপাত হয়নি। বিজেপি কয়েকটা আসন পেতেই সিপিএমের কায়দায় রংবাজির জমানা আনতে চাইছে।’ তবে বিজেপির উদ্দেশ্যে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘কে কত বড় মস্তান হয়েছে দেখব। দরকার হলে ১০ দিনের মধ্যে আমি ফের এলাকায় আসব।’