এনআরএস কান্ডে উত্তাল গোটা বাংলা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেকেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধ জানিয়েছেন কাজ শুরু করতে। এবার সেই একই কথা বলল কলকাতা হাইকোর্ট।
চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ঘটনায় ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। তার শুনানিতে এই মত প্রকাশ করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি, এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার রিপোর্ট সাতদিনের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ফের শুক্রবার মামলার শুনানি হবে। পড়াশোনা শেষে যাঁরা সেবা–র শপথ নিয়ে মহান পেশায় রয়েছেন, তাঁরা কী শপথ নিয়েছেন সেটা ভাবা উচিত। এমনই মত কলকাতা হাইকোর্টের।
শুনানির সময় বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণন মন্তব্য করেন, চিকিৎসকদের ওপর হামলা সঠিক কাজ নয়, তেমনি কর্মবিরতিও ঠিক হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, কখনও আইনজীবী, কখনও চিকিৎসক, কখনও অন্য পেশার মানুষদের ওপর হামলা হচ্ছে, রক্তপাতের ঘটনা ঘটছে, যা কাম্য নয়। তিনি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের কাছে জানতে চান রাজ্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে। কিশোর দত্ত জানান, পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা জেল হেফাজতে রয়েছে। আরও কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরা হবে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য পদক্ষেপ করেছে।
স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিক্ষোভ, কর্মবিরতি নিষিদ্ধ। তবু সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে কীভাবে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে আন্দোলন চলছে সেই প্রশ্ন তুলে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন চিকিৎসক কুণাল সাহা ও আইনজীবী শ্রীকান্ত দত্ত। এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সর্বোচ্চ আদালত আগেই জানিয়ে দিয়েছে পরিষেবা বন্ধ রেখে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে চিকিৎসকরা কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন করতে পারেন না। দাবির সমর্থনে তাঁরা প্রতিবাদ জানাতেই পারেন কিন্তু চিকিৎসা বন্ধ রেখে তা করা যাবে না। আর রোগীদের পরিষেবা দিতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে এনআরএস হাসপাতালের ঘটনাকে সামনে রেখে পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।