ফের প্রকাশ্যে এল বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা৷ শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট সাবস্টেশনে জেলার এক প্রশাসনিক বৈঠকে এসে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বাংলার বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানালেন, রাজনৈতিক অভিসন্ধির কারণেই কাটোয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ আটকে রেখেছে কেন্দ্র৷
শোভনের আরও অভিযোগ, “এনটিপিসির অধীনে কাটোয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলাকালীন আচমকা ১৫জন ভালো অফিসারকে তুলে নিয়েছে কেন্দ্র৷ এটা সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে সব সমস্যা মেটানোর পরেও কাজ বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্র৷আমি নিজে কেন্দ্রের বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে এই নিয়ে চিঠি লিখেছি কিন্তু কোন উত্তর পাইনি”৷
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে সিদ্ধান্ত হয় পিডিসিএলের বদলে এই কাজ করবে এনটিপিসি৷ তাই ২০১৪ সালে সরকারিভবে ৫৫৬ একর জমি এনটিপিসিকে দেওয়া হয়৷ কিন্তু তারপরে ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের অবহেলায় কয়লার জটে আটকে যায় প্রকল্পের নির্মাণ কাজ৷
এনটিপিসির এক আধিকারিক জানান, “কেন্দ্রীয় সরকার কয়লার ব্লকের অনুমোদন না দেওয়ায় টেন্ডার থমকে আছে৷ এরপর ২০১৮ সালের জুন মাসে প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার-সহ ১৫জন আধিকারিককে বদলি করে দেওয়া হয়৷ সেই থেকেই এনটিপিসির অধীনে ওই কাজ থমকে আছে”৷
এই বৈঠকে আরও বেশকিছু পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শোভনদেব৷ লো-ভোল্টেজের সমস্যা দূর করতে প্রতিবছর বিভিন্ন জেলায় গড়ে ২০টি সাবস্টেশন তৈরি করা হবে৷ এছাড়া দূর্ঘটনা থেকে বাঁচতে ও বিদ্যুৎ চুরি রুখতে রাজ্যজুড়ে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ তার কেবলিং করা হবে বলেও জানান তিনি৷ হুকিং রুখতে দফতরের আধিকারিকদের সচেষ্ট হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি৷ এই বৈঠকে শোভনদেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মন্ডল এবং জেলার বিদ্যুৎ বন্টন আধিকারিকেরা৷