অবশেষে এনআরএস হাসপাতালে এসে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করল চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় সংগঠন আইএমএ-র প্রতিনিধি দল। আইএমএ-র সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ড. শান্তনু সেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল শনিবার এনআরএস-এর জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করে।
বৈঠকের পর ড. শান্তনু সেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা জুনিয়র চিকিৎসকদের বুঝিয়েছি, সাধারণ মানুষকে বাদ দিয়ে চিকিৎসক সমাজের অস্তিত্ব থাকতে পারে না। একইভাবে চিকিৎসক সমাজও আশা করে যে সাধারণ মানুষ তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার করবে। এই বিষয় নিয়ে এনআরএস-এর জুনিয়র চিকিৎসকদের জেনারেল বডির বৈঠক চলছে। বৈঠকের পর ওরা কী সিদ্ধান্ত নেয়, সে দিকেই আপাতত নজর থাকবে।”
চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োজন বলেও জানান শান্তনু সেন। দেশজুড়ে চিকিৎসকরা যে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন, তা ‘এই আইনের স্বার্থে’ বলেই জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যসভার সাংসদ ড. শান্তনু সেনের কথায়, “আমাদের কাছে যা খবর, শীঘ্রই এই আইন আসছে।”
মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। শান্তনু সেনও মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে নবান্নের বৈঠকে যোগ দেওয়া উচিত বলেই জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বহিরাগত’ তকমাকেও মান্যতা দেন। এদিন এনআরএস হাসপাতালে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে শান্তনু সেন বলেন যে, ” আন্দোলনটা শুধুমাত্র চিকিৎসকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সেখানে প্রচুর সংখ্যক ‘বহিরাগত’ ঢুকে পড়েছে, যারা এই ঝামেলাটা জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তাঁদের উস্কানির ফলেই আন্দোলনটা এরকম বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে।” তিনি বহিরাগতদেরকে এই উস্কানি-প্ররোচনা দেওয়া থেকে বিরত থাকতেও অনুরোধ করেন।
স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে আলোচনায় আজ বিকেলে সবপক্ষকে নবান্নে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা সেই বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়।