দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেই, আসামে ফের এনআরসি নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছে মোদী সরকার। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এবার জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর তালিকায় নাম তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুই সরকারি অফিসারকে গ্রেফতার করল আসাম পুলিশ। যার ফলে এনআরসি নিয়ে বিতর্ক আরও বাড়ল।
গ্রেফতার হওয়া দুই অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নাম তুলে দেওয়ার বদলে সরকারি অফিসে বসে সরাসরি ঘুষ নিচ্ছিলেন তাঁরা। ওই দুজনেই বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, নাগরিকপঞ্জীকে সামনে রেখে এই ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে। পুলিশ সূত্রে খবর, গুয়াহাটির ৮ নম্বর দিসপুর নাগরিকত্ব তালিকা সংশোধনী কেন্দ্রের ফিল্ড অফিসার সৈয়দ শাহজাহান, কাজরী ঘোষ দত্তের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ চান।
কাজরী ঘোষ দত্ত ওই কেন্দ্রে নিজের নাম সংক্রান্ত সংশোধনীর জন্য গিয়েছিলেন বলে খবর। এরপরেই অসম দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ দায়ের করেন গুয়াহাটির বাসিন্দা কাজরী। প্রশাসনের পরামর্শ মেনে বৃহস্পতিবার ১০ হাজার টাকা নিয়ে হাজিরও হন সংশোধনী কেন্দ্রে। অভিযুক্ত সেই টাকা নেওয়ার সময় হাতানাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে, শ্রীমতা দত্ত ওই কেন্দ্রেরই আর এক অফিসার রাহুল পরাশরের নামেও এফআইআর দায়ের করেন আসাম দুর্নীতি দমন শাখায়। পরাশরের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, তিনিও নাকি এই দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। কাজরীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই আসাম দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারেরা ঘুষের টাকা এবং বেশ কিছু নথি আটক করেছে এনআরসি সেবা কেন্দ্র থেকে।