সম্ভাবনা ছিলই। আর সেটাই সত্যি হল গতকাল। ভেস্তে গেল ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। পয়েন্ট ভাগাভাগিতে দুই দলই পেল এক পয়েন্ট করে। তিন ম্যাচ খেলে ভারতের পয়েন্ট দাঁড়াল পাঁচ। তবে ইংল্যান্ডকে টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে এল কোহলি বাহিনী। শীর্ষে রইল নিউজিল্যান্ড। ভারতের পরের ম্যাচ রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে।
বৃষ্টির জন্য নটিংহ্যামশায়ারের ম্যাচ বাতিল হয়ে যাওয়ার পরেই বিরাট কোহলির মুখে শোনা গেল রবিবারের পাকিস্তান ম্যাচের কথা। ভারত অধিনায়ক বলে দিলেন, ‘‘পাকিস্তান ম্যাচ আমাদের মধ্যে থেকে সেরাটা বার করে আনে।’’ ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পরে টিভি-তে আসন্ন ভারত-পাক লড়াই নিয়ে কোহলি বলেন, ‘‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বহু বছর ধরে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার সাক্ষী থেকে এসেছে। বিশ্ব জুড়ে এই লড়াই নিয়ে আগ্রহ থাকে। এই রকম ম্যাচে খেলার সুযোগ পাওয়াটা একটা সম্মানের ব্যাপার। এই ম্যাচ আমাদের সবার সেরাটা বার করে নিয়ে আসে।’’
ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছেন, “আউটফিল্ড ভিজে ছিল। না খেলার সিদ্ধান্ত সঠিক। আপাতত আমরা পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে ভাবতে চাই। এই ম্যাচের গুরুত্ব অপরিসীম। ক্রিকেট দুনিয়া দুই দলের লড়াই দেখার অপেক্ষায় রয়েছে। আমরাও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেরা পারফরম্যান্সটা মেলে ধরার জন্য তৈরি। রবিবারের ম্যাচের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। সেই মতো মাঠে নেমে আমাদের পারফর্ম করতে হবে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে বাড়তি উত্তেজনা রয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। সেই আঁচ আমরা পাচ্ছি। তব ফোকাস ধরে রেখে সেরা খেলাটা মেলে ধরাই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’ শিখর ধওয়ানের চোট প্রসঙ্গে বিরাট বলেন, “শিখরের হাতে কয়েকদিনের মধ্যে প্লাস্টার হবে। ওর চোটের উপর নজর রয়েছে। আসা করছি ওকে আমরা লিগ পর্বের শেষ দিকে এবং সেমি-ফাইনালে ভালোভাবে পাবো, কারণ ওকে আমাদের খুবই দরকার।”
কাল সকাল থেকেই ট্রেন্ট ব্রিজে বৃষ্টি পড়ছিল। ফলে নির্ধারিত সময় টস হয়নি। আম্পায়াররা দফায় দফায় মাঠ পর্যবেক্ষণ করেন। শেষ অবধি স্থানীয় সময় বিকেল তিনটেয় পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এতে ভারতেরই বেশি ক্ষতি হল বলে মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। কারণ, বিরাট কোহলিরা দারুণ ছন্দে ছিলেন। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পাকিস্তানের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচরে আগে আরও চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারত ‘টিম ইন্ডিয়া’। বিরাট কোহলিরা ড্রেসিংরুম থেকেই বেরোতে পারেননি। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল কনকনে ঠান্ডা। ঘন ঘন চায়ের কাপে চুমুক দিতে দেখা গিয়েছে। ড্রেসিংরুমের জানালা দিয়ে আকাশের দিকে উঁকি মারছিলেন কোহলিও। আসলে, ভারতীয় দল চাইছিল ওভার সংখ্যা কমলেও ম্যাচটা হোক। তাতে ওপেনার হিসাবে লোকেশ রাহুলকে দেখে নেওয়ার সুযোগ পেতেন কোচ রবি শাস্ত্রী। চার নম্বরের ধোঁয়াশাও দূর হত।
গত বিশ্বকাপগুলোর মতো এ বারও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। দু’দলের সমর্থকরা তৈরি হচ্ছে এই মহা ম্যাচের জন্য। কোহলি অবশ্য মাঠের বাইরের এই আঁচ থেকে দূরেই থাকতে চান। তিনি বলেছেন, ‘‘স্টেডিয়ামে ঢোকার পরে মাঠের পরিবেশ দেখে কেউ কেউ ঘাবড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে নবাগতরা। তবে মাঠে নামলেই সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। তখন সবাই শান্ত মনে খেলারটার উপরে মনঃসংযোগ করতে পারে।’’