আন্দোলনকারীদের অধিকাংশই বহিরাগত। বৃহস্পতিবার দুপুরে এসএসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে একথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন তাঁর কথার প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন অনেকেই। শুক্রবার কাঁচড়াপাড়ার কর্মীসভায় গিয়ে নিজের বক্তব্যের প্রমান দিলেন মমতা। সেইসব বহিরাগতদের নাম, ঠিকানা জানিয়ে দিলেন তিনি।
শুক্রবারের কর্মীসভায় মমতা বলেন, ‘জানেন সেদিন কে এনআরএস -এ ভাষণ রাখছিল, গেট আটকেছিল? জানেন কেন আমি বলেছি বহিরাগত আছে? সেদিন এনআরএস-এ যে ছেলেটা বক্তব্য রাখছিল, খোঁজ নিয়ে দেখুন তার নাম দীপক গিরি। সে ক্যালকাটা হার্ট রিসার্চ সেন্টারে গত ১০ বছর ধরে চাকরি করছে। বলুন তো, সে কীভাবে এনআরএস-এর জুনিয়র ডাক্তার হয়?’ এনআরএস কাণ্ডে যে সত্যিই বহিরাগত যোগ আছে, জনতার দরবারে এভাবেই তার প্রমান রাখলেন মমতা।
এদিনের কর্মীসভায় মমতা আরও বলেন, ‘আমি বলিনি সবাই বহিরাগত। তবে কিছু বহিরাগত যে রয়েছে, সেটা আমি বলেছি।” সংবাদমাধ্যমে বাড়িয়ে খবর দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখুন আপনারাই, ওই ছেলেটা কোন দলের হয়ে কাজ করে? তাহলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, আমি কেন ওই কথাগুলো বলেছি’। হাসপাতালে রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বহিরাগতদের নাম-ঠিকানা বলে দিয়ে বিজেপির মুখোশ খুলে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।