ইংল্যান্ডে বৃষ্টি যেন আর থামতেই চাইছে না। প্রায় রোজই ম্যাচ বিঘ্নিত হচ্ছে অথবা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই বৃষ্টির কারণেই। এই দেশে বৃষ্টির দেখা নেই। আর বিশ্বকাপ দেখার জন্য যেই দেশের মানুষ হাপিত্যেশ নয়নে বসে, সেই বিশ্বকাপের আয়োজক দেশে বৃষ্টি যেন আর থামতে চাইছে না। এই বৃষ্টির জন্যই ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ বন্ধ হয়ে গেছে। আর লাগাতার বৃষ্টির কারণে নেটদুনিয়ার মানুষজনও রেগে লাল। ওদিকে ইংল্যান্ডে বৃষ্টি আর ম্যাচ দেখতে না পারার বিরক্তিতে রীতিমতো মিমের বৃষ্টিপাত চলছে ট্যুইটার-ফেসবুকের মতো সোশ্যাল সাইটে। কেউ কেউ তো বলছেন, “এই বৃষ্টি এবার বিশ্বকাপ বাড়ি নিয়ে যাবে।”
যদিও এমতাবস্থায় তোপের মুখে পড়তে হয়েছে গোটা ক্রিকেটবিশ্বের নিয়ামকসংস্থা খোদ আইসিসিকে। বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট ভক্তরা ইংল্যান্ডের মতো দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করার কারণে একহাত নিয়েছেন আইসিসিকে। ঠিক এরকম ভাবে চলতে থাকলে বিশ্বকাপের কত ম্যাচ যে বিঘ্নিত হতে চলেছে, তা নিয়ে একপ্রকার আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী নানান দেশের কোচ।
এই সপ্তাহেই বৃষ্টির কারণে বিঘ্নিত হয়েছে পর পর তিন ম্যাচ। কাল নটিংহ্যামেও ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দেখার অপেক্ষা করে শেষপর্যন্ত হতাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে দুই দলের সমর্থকদের। আর তারপরে ট্যুইটার আর ফেসবুক ভরে উঠেছে মিম বন্যায়।
ট্যুইটারে একজন ভারতীয় জার্সি রঙে এবং একটি নিউজিল্যান্ডের জার্সির রঙের রেনকোর্টের ছবি পোস্ট করে সোজা লিখে দিয়েছেন, “আজকের অফিসিয়াল ড্রেস।” কেউ আবার ম্যাচ দেখার অধীর অপেক্ষায় বসে লিখছেন, “ব্রেক আপের থেকেও বেশি যন্ত্রণাদায়ক।” কেউ তো আবার দেশেরই কোনও এক জল ভরতি মাঠে বাচ্চাদের হাঁটুজলে ডুবে ক্রিকেট খেলার ছবি পোস্ট করে লিখছেন, “এই ভাবেই ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলির খেলা হোক।”