ভোটপর্ব মিটলেও রাজ্যজুড়ে অব্যাহত অশান্তি। বারবার আক্রমণের মুখে পড়ছেন শাসকদলের কর্মীরা। বিজেপির দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে গোটা বাংলায়। ভাঙচুর করছে তৃণমূলের অফিস। আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ওপর।
আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি নদিয়ায়। তবে এবার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করার অভিযোগে বিজেপি কর্মীকেই লাঠি ও বাঁশ দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় মানুষজনদের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয়েছে ওই ব্যক্তির বাড়িতেও। ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগরে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কৃষ্ণনগর রেল গেট এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোতয়ালি থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, আহত প্রসেনজিৎ দাসের পকেট থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে।
জানা গিয়েছে, এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবেই পরিচিত প্রসেনজিৎ দাস। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন তিনি। সেই সময় স্থানীয়দের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রসেনজিৎ। বচসা চরমে উঠতে প্রসেনজিতের উপর চড়াও হন স্থানীয়রা। অভিযোগ, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত যুবকের পকেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই আগ্নেয়াস্ত্রটি।
যদিও আক্রান্ত যুবকের কথায়, “আমি বিজেপি করি। তার জন্য তৃণমূল নেতা গৌরীশংকর দত্তর লোক ভোলা জোয়ারদার আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে আমার বাড়িতেও।” এই প্রসঙ্গে সেখানকার তৃণমূল নেতা বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সেই যুবক সবার সামনেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো। এলাকার স্থানীয় লোকরাই সেটি দেখতে পেয়ে তাঁকে মারধোর করে। কারণ এলাকার মানুষজন শান্তি চায়।”