এনআরএস কাণ্ডের প্রতিবাদ আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলায়। বুধবারের মতো আজ বৃহস্পতিবারও কর্মবিরতি জারি রেখেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবায় সঙ্কট চলছেই কলকাতার সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে। ইতিমধ্যেই ৬০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড় এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তাররা। এ দিনও তাঁরা অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন, এবং যথারীতি রোগী প্রত্যাখ্যানের ঘটনা ঘটছে। বন্ধ আউটডোর পরিষেবাও।
একই ছবি ধরা পড়ছে এসএসকেএম হাসপাতালেও। সেখানে আউটডোর থেকে রোগীদের টিকিট দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত ডাক্তারদের দেখা নেই। আদৌ রোগীরা চিকিৎসা পাবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীদের পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলতে পারছেন না আদৌ ডাক্তাররা আসবেন কি না। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে রোগী ও তাঁর পরিজনদের মধ্যে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও একই ছবি দেখা গেল। সেখানেও প্রায় কর্মবিরতি চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। বিভিন্ন বিভাগের ডাক্তাররা যেন উধাও হয়ে গিয়েছেন।
এদিন চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এনআরএসের সামনে এজেসি বোস রোডের উপর বসে পড়েন রোগীর আত্মীয়স্বজনরা। শুরু হয় অবরোধ। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধের পর পুলিশি হস্তক্ষেপে তা উঠে যায়। কিন্তু পরিষেবা না মেলায় তাঁরা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবিতে সরব হয়েছেন। একই রকম বক্তব্য এসএসকেএম-সহ কলকাতার অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতে আসা রোগীর পরিবারেরও। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও আরজিকর মেডিক্যাল কলেজেও ছবিটা একই। দূরদূরান্ত থেকে এসেও চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়াত রোগীর পরিবারদের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই এসএসকেএমে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেখানে জুনিয়র ডাক্তার এবং রোগীর পরিবারদের সঙ্গে কথা বলছেন।