গত ২ দিন ধরে চিকিৎসক ও রোগীর পরিজনদের মধ্যে ঝামেলা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে গোটা বাংলা জুড়ে। এনআরএস হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের মার খাওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে চিকিৎসকদের ধর্না-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলার প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। বর্ধমান, মালদায় রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়েছে দু-পক্ষের আন্দোলনকারীদের মধ্যে। অভিযোগ উঠেছে, এরকম অবস্থার মধ্যেই কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের হস্টেলে আগুন লাগে। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের আক্রমণের ফলেই হস্টেলে আগুন লেগেছে।
সূত্রের খবর, বুধবার গভীর রাতে আগুন লেগে যায় লিন্টন স্ট্রিটে জুনিয়র ডাক্তারদের হস্টেলে। কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। হতাহতের কোনও খবর নেই। হস্টেলবাসীদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক এনআরএস কাণ্ডের জেরে জুনিয়র ডাক্তারদের যে বিক্ষোভ চলছে রাজ্য জুড়ে, সেই কারণেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে হস্টেলে। তাঁদের দাবি, ছোড়া হয়েছে কেরোসিন বোমা।
যদিও মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের ফলেই আগুন লেগেছে। তবে কী কারণে আগুন লাগল, সে বিষয়ে এখনও পরিষ্কার করে কিছু জানায়নি পুলিশ বা দমকল। তাই হোস্টেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগে এখনই সিলমোহর দিচ্ছে না প্রশাসন।
জুনিয়র ডাক্তারদের হস্টেলে এই আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় দমকলের ২ টি ইঞ্জিন। দমকল সূত্রের খবর, মিনিট দশেকের মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে জানা গিয়েছে। বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের হস্টেলে কী ভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও তদন্ত করে দেখা হবে। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এমন কাজ করল, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।