‘দেশপ্রেম’ ও ‘উগ্র জাতীয়তাবাদ’কে হাতিয়ার করেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। তবে ভোট ফুরোতেই দেখা যাচ্ছে যে, বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেম ছিল আদতে লোকদেখানো। এর আগে স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রকল্পে নির্মিত শৌচালয়ের টাইলসে দেখা গিয়েছিল অশোক স্তম্ভ ও গান্ধীজির ছবি। আর এবার বিজেপি পরিচালিত পুরসভায় খোদ মেয়র এবং বাকি পুর প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে উঠল জাতীয় সঙ্গীতকে অবমাননা করার অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে বিজেপি পরিচালিত ইন্দোরের কর্পোরেশন বৈঠকে। বুধবার জাতীয় সঙ্গীত দিয়েই পুরসভায় অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতোই জনগণমন গাইতে শুরু করেন সকলে। কিন্তু জাতীয় সংগীত গাইতে গাইতেই তা পাল্টে যায় বন্দে মাতরমে। প্রকাশ পাওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বৈঠকের শুরুতেই কর্পোরেশনের সদস্যরা উঠে দাঁড়িয়ে ‘জন গণ মন’ গাইতছেন। ২ লাইন গাওয়ার পরই চুপ। শুরু করেন বন্দে মাতরম গান। শেষ পর্যন্ত সেটাই গেয়ে যান সকলে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, ইন্দোর পুরসভার মেয়র তথা বিজেপি বিধায়ক মালিনী গৌড়কেও।
ঘটনার পরই সরব হয়েছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, এই ঘটনায় জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করা হয়েছে। যদিও ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ইন্দোর পুরসভার চেয়ারম্যান অজয় সিং নারুকার দাবি, ‘এই ঘটনা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হয়নি। কোনও এক সদস্যের মুখ ফস্কে যাওয়াতেই এটা ঘটেছে। সুতরাং, এই ঘটনায় অকারণ বিতর্ক বাড়িয়ে লাভ নেই।’ আরও একধাপ এগিয়ে তাঁর সাফাই, ইন্দোর পুরসভার বাজেট অধিবেশন সবসময়ই জাতীয় গান দিয়ে শুরু হয়ে এসেছে। এবং তা শেষ হয় জাতীয় স্তোত্র দিয়ে। তবে বিরোধীদের চাপের মুখে পড়ে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননাকারীদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।