চার ধাপ নীচে নামল ভারত৷ বিশ্ব শান্তি সূচকের বার্ষিক তালিকার ১৬৩টি দেশের মধ্যে এবার ১৪১ নম্বরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত৷ আইসল্যাণ্ড এবারও নিজেদের প্রথম স্থান ধরে রাখতে পেরেছে৷ ইন্টান্যাশনাল থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রকাশিত রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য।
গ্লোবাল পিস ইনডেক্স বা জিপিআই জানাচ্ছে, দেশের অভ্যন্তরে হিংসা বাড়ছে৷ ভারতীয় সমাজে দ্বন্দ্ব, হিংসা ও অশান্তি অব্যাহত৷ এছাড়াও সীমান্ত জুড়ে রক্তপাতের পরিমাণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে রিপোর্ট৷ অথচ ২০০৮ সাল থেকে এই তালিকার একদম শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে আইসল্যাণ্ড৷ ইন্সটিটিউট ফর ইকনোমিকস অ্যাণ্ড পিস বা আইইপি জানাচ্ছে এই তথ্য৷ এর পরেই রয়েছে নিউজিল্যাণ্ড, অস্ট্রিয়া, পর্তুগাল ও ডেনমার্ক৷ প্রথম কুড়ির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ভুটান৷ এই দেশকে শান্তির পথে সবথেকে বেশি পরিবর্তনশীল বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে৷ ১২ বছরে ৪৩ ধাপ এগিয়ে প্রথম ২০তে ঢুকে পড়েছে এই দেশ৷
১৩৬ থেকে ১৪১ নম্বর স্থানে গিয়েছে ভারত৷ দক্ষিণ এশিয়ায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত৷ বার্ষিক রিপোর্ট বলছে ২০০৮ সাল থেকে ক্রমাগত কমছে বিশ্ব শান্তির মান৷ সর্বত্রই কিছু না কিছু অশান্তির ছোঁয়া রয়েছে৷ গত দশকের তুলনায় চলতি দশকে ৪ শতাংশ নেমেছে শান্তির হার৷ ২০১৯ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, উল্লেখযোগ্যভাবে অবনতি হয়েছে ভারত, ফিলিপিনস, জাপান, বাংলাদেশ,মায়ানমার, চিন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তানের৷ যেখানে সামাজিক শান্তি প্রায় বিপন্ন৷ ৮৬টি দেশ শান্তি তালিকায় উন্নতি করলেও, অবনতি হয়েছে ৭৬টি দেশের৷
এই মুহুর্তে সবচেয়ে অশান্ত দেশ হিসেবে তালিকায় সবশেষে জায়গা পেয়েছে আফগানিস্তান৷ সিরিয়াকে সরিয়ে অবনতি হয়েছে তালিবান অধ্যুষিত এই দেশের৷ তালিকার নিচের দিকে রয়েছে দক্ষিণ সুদান, ইয়েমেন ও ইরাকের নাম৷
২০১৮ সালে ভারতের কিছুটা হলেও উন্নতি হয়৷ চারধাপ উঠে ভারত আসে ১৩৭ তম স্থানে৷ অস্ট্রেলিয়ার এক সংস্থার তরফ থেকে প্রকাশিত হয় বিশ্ব শান্তি সূচক। সেখানে ১৬৩টি দেশের মধ্যে ভারত ছিল ১৩৭তম স্থানে। গত বছর ভারতের স্থান ছিল ১৪১।