আবারও জম্মু-কাশ্মীরে বন্যার সতর্কতা জারি করলো রাজ্য প্রশাসন। আজ সকাল থেকে ঝিলম নদী বইছে ১৮ ফুটের ওপর দিয়ে৷ যা বিপদসীমা ছাড়িয়েছে বলেই জানাচ্ছে স্থানীয় আবহাওয়া দফতর৷ আগামী ২৪ ঘন্টায় আবহাওয়ার পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সতর্কতা জারি করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷ তবে হাওয়া অফিস জানাচ্ছে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ভূস্বর্গে।
গত দুদিন ধরেই ফুঁসছে ঝিলম নদী৷ কারণ টানা বৃষ্টি চলছে কাশ্মীরের একাংশে৷ অন্যদিকে সোনমার্গে চলছে ভারি তুষারপাত৷ সব মিলিয়ে বৃষ্টি-বরফে নাজেহাল কাশ্মীর৷ শুধু ঝিলম নয়, উপত্যকার বেশিরভাগ পাহাড়ি নদীরই জলের উর্দ্ধসীমা বেড়েছে৷ বিপদসীমা দিয়ে বইছে বেশ কয়েকটি নদীর জল৷ বিশেষত এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণ কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে৷
সূত্রের খবর, কিছু জায়গায় নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় কয়েকটা অস্থায়ী ব্রিজ ভেঙে গিয়েছে৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ বান্দিপোরা ও তাংগমার্গ৷ বন্যার জলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বারামুল্লা জেলার আপেল বাগানও৷
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলি থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের৷ শ্রীনগরের নীচু এলাকা থেকেও সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের৷ আবহাওয়া দফতর বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় শ্রীনগরে ৩৯.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে৷ কাজিগুন্দ ও পহেলগাঁওতে ৫০.৪ মিমি, কুপওয়াড়াতে ৪০.২ মিমি, গুলমার্গে ৬১.০ মিমি ও কোকেরনাগে ৩২.০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর৷
এদিকে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেও যখন বর্ষার আশানুরূপ অগ্রগতি নেই, তখন বরফ পড়ছে কাশ্মীরে৷ উত্তর, মধ্য, পশ্চিম ও পূর্ব ভারতে গরমের দাপট এখনো অব্যাহত৷ কোনও কোনও জায়গায় পারদ ৫০ এর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে৷ লু বইছে উত্তর ভারতের একাংশে৷ আর ঠিক উল্টো ছবি জম্মু কাশ্মীরে৷ বুধবার উপত্যকার বেশ কিছু অংশে ভালো তুষারপাত ও বৃষ্টি হয়েছে৷ জুন মাস কাশ্মীরে সাধারণত বরফ পড়ার সময় নয়৷ ফলে এই ঘটনায় আবহাওয়াবিদরাও ধন্দে পড়ে গিয়েছে৷
বুধবার কাশ্মীরের সোনমার্গ, গুরেজ এবং পীর কি গলির মতো জায়গা সাদা তুষারে ঢেকে যায়৷ আর কাশ্মীরের অপেক্ষাকৃত নীচু এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টা ধরে প্রবল বৃষ্টি হয়৷ হাওয়া অফিস ভূস্বর্গে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে আবহাওয়া উন্নতিরও পূর্বাভাস দিয়ে রেখে ছিল৷ জানিয়েছিল, বৃষ্টিপাত চলবে৷ তবে বুধবার রাতের পর আবহাওয়ার উন্নতি হবে৷ বৃহস্পতিবার থেকে রোদ ঝলমলে আকাশ দেখা যাবে৷ তবে তাদের পূর্বাভাস মেলেনি৷