তৃনমূলের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল আরামবাগ লোকসভার অন্তর্গত বিভিন্ন সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করল। এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দুই মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও লক্ষ্মীরতন শুক্লা, সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, আরামবাগ লোকসভা তৃণমূল আহ্বায়ক দিলীপ যাদব, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা, দুই পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত ও স্বপন নন্দী।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা প্রথমে তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙায় পৌঁছন। সেখানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা তৃণমূল কার্যালয় ঘুরে দেখেন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধেয় ওই তৃণমূল কার্যালয় দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর ফলে ওই কার্যালয়ের মধ্যে থাকা সমস্ত আসবাবপত্র, দলীয় কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিন পরিদর্শনের সময় পুড়ে যাওয়া জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আপনারা দেখছেন আমরা কোন সভ্য দেশে বাস করছি! তৃণমূল শুধু একটা রাজনৈতিক দল নয়, এই দল বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় রয়েছে। তবু একটা বর্বর, অসভ্য দল তৃণমূলের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলকে ধ্বংস করতে পারবে না। শুধু তাই নয়, ভারতের জাতীয় পতাকারও অবমাননা করেছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে জাতীয় পতাকা নামিয়ে দলের পতাকা তুলে দিয়েছে”।
তারপর তাঁরা পৌঁছন আরামবাগের কাঁচগোড়িয়া গ্রামে। এখানে তৃণমূলের একটি কার্যালয় জোর করে বিজেপি দখল করে নেয় বলে অভিযোগ। এদিন এই কার্যালয় থেকে বিজেপি–র পতাকা নামিয়ে ফের তৃণমূলের পতাকা তোলা হয়। এ ছাড়া এখানে এদিন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা–কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। মন্ত্রী এদিন বলেন, “এই ঘটনা আমরা প্রশাসনিক স্তরে জানিয়েছি। আমি নিজে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা এই সন্ত্রাস চালাচ্ছে, যারা তৃণমূলের পার্টি অফিস জ্বালাচ্ছে, জাতীয় পতাকা জ্বালাচ্ছে, মানুষের ওপর অত্যাচার করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে”। অন্যদিকে, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “মানুষকে সঙ্গে নিয়ে শান্তির পথে কীভাবে গণতন্ত্রকে রক্ষা করা যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে তাঁর স্লোগান ছিল, বদলা নয়, বদল চাই। বদলা না নেওয়ায় সিপিএমের হার্মাদরা বিজেপি–র গেরুয়া জামা গায়ে দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হত্যা করছে। তৃণমূলের পার্টি অফিস গায়ের জোরে দখল করছে। আমাদের তা রুখতে হবে”।