লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই গেরুয়া বাহিনী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আক্রমণ চালাচ্ছে। নানা ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে তৃণমূলের কর্মীদের এমনকি তাঁদের পরিবারদের। সেই সমস্ত আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো ও তাদের সহযোগিতার জন্য মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সদ্য বঙ্গ জননী বাহিনী গঠন করেছেন। যার মধ্যে রয়েছেন রাজ্য স্তরের তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। বুধবার বিকেলে ওই বাহিনীর পক্ষ থেকে তৃণমূল নেত্রী কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীরতন শুক্লা সহ অনেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা টাউনে হাজির হন।
বঙ্গ জননী বাহিনীর সদস্যরা চন্দ্রকোনার সনপুর গ্রামের বিজেপির হাতে আক্রান্ত তৃণমূলের কর্মী সুভাষ পালের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। সুভাষ পালকে স্থানীয় বিজেপির নেতা কর্মীরা কয়েকদিন আগে জোর করে বিজেপির পতাকা তুলতে বাধ্য করেছিল ওই গ্রামে। সেই সঙ্গে তাকে জোর করে জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করা হয়েছিল। জোর পূর্বক বিজেপির পতাকা তোলানোর সেই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শুরু হয় তোলপাড়। এমনকি মারধর করা হয় তাকে এমনি অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। এলাকায় বেশ কিছু তৃণমূল পরিবারকেও আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।
এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি হাতে আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে এর মোকাবিলা করব। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি। এলাকায় ভয়ের বাতাবরণ তৈরী করে রেখেছে বিজেপি”। বুধবার বিকেল নাগাদ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীরা আসেন ওই সন্ত্রস্ত পরিবাগুলির সঙ্গে কথা বলতে। সমস্ত কর্মীদের সাহস যোগান তাঁরা।