রাহুল গান্ধী যতই কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে অনড় থাকুক না কেন দল তাঁকে ছাড়তে নারাজ৷ গান্ধী পরিবারের হাতেই থাকুক কংগ্রেসের রাশ, এমনটাই চাইছেন দলের শীর্ষনেতৃত্ব। আর সেই কথাই আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা৷ তাঁর সাফ কথা, “রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন, আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন৷”
এদিন কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা এ কে অ্যান্টনির ডাকে বৈঠকে বসে৷ আগামী কয়েকমাসের মধ্যে হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্রে ভোট৷ এই চার রাজ্যে কোন রণনীতিতে এগোবে কংগ্রেস তা ঠিক করতে বৈঠকটি ডাকা হয়৷ উপস্থিত ছিলেন আহমেদ প্যাটেল, মল্লিকার্জুন খাড়গে, গুলাম নবি আজাদ, পি চিদম্বরম, কেসি বেণুগোপাল, জয়রাম রমেশ, আনন্দ শর্মা এবং রণদীপ সুরজেওয়ালার মতো নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে আলোচনার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানা না গেলেও সভাপতির প্রশ্নে রণদীপ শুধু জানান, এই বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই৷ রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন আছেন এবং থাকবেন৷
এদিকে এখনও নাকি পদত্যাগের সিদ্ধান্তে অনড় রাহুল গান্ধী৷ তিনি নাকি বলেছেন, ‘‘আমার বিকল্প খুঁজুন৷’’ এই ইস্যু নিয়ে একাধিকবার বৈঠকও করেন রাহুল৷ সেখানে দলের নতুন সভাপতি খোঁজার পরামর্শ দেন তিনি৷ কারণ এই বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, যে সভাপতির পদ থেকে সরছেন তিনি৷
ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে বর্ষীয়ান নেতা একে অ্যান্টনির নাম উঠে এসেছে৷ যতদিন না নতুন স্থায়ী সভাপতি পাচ্ছে দল, ততদিন পর্যন্ত অ্যান্টনিই দলের যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন বলে জানা গিয়েছে৷ যদিও, একাধিকবার দলের শীর্ষ নেতারা রাহুল গান্ধীকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করে চলেছেন৷ তবে বিশেষ লাভ হয়নি বলে সূত্রের খবর৷