ফের সাংবাদিক হেনস্থার ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশে। শামলি জেলায় একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার খবর কভার করতে গিয়েছিলেন বেসরকারি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক অমিত শর্মা। কিন্তু খবর কভার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে মার খেতে হয় অমিতকে। ঘটনাটির ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু হয়েছে।
অমিত শর্মা বলেছেন, ‘রেল পুলিশের আধিকারিকরা সাধারণ পোশাকে ছিলেন। একজন ধাক্কা দিয়ে আমার ক্যামেরা ভেঙে দিয়েছেন। একজন ধাক্কা দিয়ে আমাকে মাটিতে ফেলে দেন। আমি উঠতে গেলে মারা হয়। গালিগালাজ করা হয়। আমাকে আটকে রাখা হয়। এমনকি আমার মুখে প্রস্রাব পর্যন্ত করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে। রেল পুলিশরা অমিতের ফোন পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছেন। লাইনচ্যুত ট্রেনের ছবি তোলার অপরাধে। ঘটনার কথা জানামাত্রই একাধিক সাংবাদিক থানায় হাজির হন। তখন অমিতকে আটকে রেখে রীতিমতো মারধর করা হচ্ছিল। উপস্থিত সাংবাদিকরা সেই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেন। বাঁচার জন্য পুলিশের উচ্চ আধিকারিকদের ফোনও করেছিলেন অমিত। তাঁকে ছাঁড়ানোর জন্য বাকি সাংবাদিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। অবশেষে বুধবার সকালে ছেড়ে দেওয়া হয় অমিতকে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ঘটনার ফুটেজ দেখার পর এক অফিসার ও এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করেছে। যাদের মধ্যে আছে রাকেশ কুমার ও কনস্টেবল সঞ্জয় পাওয়ার।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে টুইট করার দায়ে সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়াকে গ্রেফতারের জন্য এক দিন আগেই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। ওই সাংবাদিককে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই ফের সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা ঘটল যোগীর রা