যোগীরাজ্যে ফের খুন। গত ১ সপ্তাহে বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন ঘটনা, যা নিয়ে উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ। গত সপ্তাহে প্রথমে এক ৩ বছরের শিশুকন্যাকে খুন করেন দুষ্কৃতীরা, তার ২ দিন পর আরও এক কিশোরীকে পরিবারের সামনে ধর্ষণ করা হয়। এদিন খুন হলেন আগ্রা কোর্টের এক উকিল। তাঁর নাম দরবেশ যাদব।
মাত্র ২ দিন আগে উত্তরপ্রদেশ বার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন দরবেশ যাদব। ওই রাজ্যে তিনিই প্রথম মহিলা যিনি বার কাউন্সিলের সর্বোচ্চ পদটি অধিকার করেন। বুধবার আগ্রা কোর্ট চত্বরে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা গেলেন। গুলি করেছিলেন তাঁরই সতীর্থ এক আইনজীবী। দরবেশ যাদবকে গুলি করার পর তিনিও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন।
দরবেশ যাদব এদিন আগ্রার দেওয়ানি আদালত পরিদর্শনে এসেছিলেন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁকে গুলি করা হয়। আগ্রা শহর পুলিশের অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট প্রবীণ বর্মা বলেন, “হত্যাকারীর নাম মনীশ শর্মা। তিনি দরবেশ যাদবের দীর্ঘদিনের পরিচিত ছিলেন।”
ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, “মনীশ শর্মা তিনটি গুলি ছোঁড়েন। প্রতিটি গুলিই দরবেশ যাদবের দেহে বিদ্ধ হয়। পরে তিনি নিজের শরীরে গুলি করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর কাছে যে পিস্তলটি ছিল, তার লাইসেন্স আছে। অস্ত্রটি এখন পুলিশের হেপাজতে আছে।”
বার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে দরবেশ যাদব এদিনই প্রথমবার দেওয়ানি আদালত পরিদর্শনে আসেন। তাঁর সম্মানে আদালতে অনুষ্ঠান হচ্ছিল। মাঝপথে মনীশ শর্মা হঠাৎই দাঁড়িয়ে গুলি চালাতে শুরু করেন। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি নিজের শরীরেও গুলি চালিয়ে দেন।