লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপির সন্ত্রাসে গোটা বাংলা সন্ত্রস্ত। ঝাড়গ্রাম থেকে কোচবিহার, বীরভূম থেকে সন্দেশখালি- বাংলার প্রতিটি প্রান্তে বিজেপির হামলায় খুন হতে হয়েছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। যেখানে তাঁদের তৈরি করা সন্ত্রাসেই গোটা বাংলায় আগুন জ্বলছে, সেখানে বিজেপি নেতা-কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সাজানো প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে আজ তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর অভিযোগ তুলে লালবাজার অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি।
দুপুর ১ টায় সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে অভিযান শুরু করে বিজেপি। এই অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির আশঙ্কা আগে থেকেই করেছিল প্রশাসন। তাই মিছিল যে সব রাস্তা দিয়ে যাবে, সেই সব জায়গায় কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে রাজ্য প্রশাসন।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে জায়গায় জায়গায় মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ও বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। লালবাজারের সামনে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। ড্রোনের সাহায্যেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুটি জলকামান।
এদিন মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এছাড়াও ছিলেন দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসুর মতো নেতৃত্বরাও। এদিন মিছিল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। বিদ্যাসাগরের মূর্তি উন্মোচন করা নিয়ে মমতার নিন্দে করেন তিনি।
সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে লালবাজারের দিকে বিজেপির মিছিল এগোতেই বাধা দেয় পুলিশ। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙতে এলে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। এমনকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জলকামানও ব্যবহার করে পুলিশ। বেশ কিছু মহিলা কর্মী-সমর্থক এদিন লালবাজারের সামনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুরুচিকর মন্তব্য করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে পুলিশ।