চিকিৎসা, এক মহৎ পেশা। আর চিকিৎসকেরা সাধারণ মানুষের কাছে রীতিমত ভগবান। কিন্তু মানুষ সবসময়ে ভগবানকে সম্মান করতে পারে না। তাই ভগবানও প্রহৃত হন। যেমনটা হল এনআরএস হাসপাতালে। এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হাসপাতাল। রোগীর বাড়ির লোকের মারধরের জেরে গুরুতর জখম দুই জুনিয়র ডাক্তার। এক জনের খুলির হাড় ভেঙে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল রাতে। ট্যাংরার বাসিন্দা বছর পঁচাত্তরের মহম্মদ শহিদ অসুস্থ হয়ে পড়ায় রবিবার রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার রাতে ওই রোগীর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, এর পরই আচমকা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ডাক্তারদের উপর চড়াও হন রোগীর বাড়ির লোকজন। দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা, তার পর সেটা এক সময়ে হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। লাঠিচার্জ করা হয় বলেও অভিযোগ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই মারধরের ঘটনায় আহত দুই জুনিয়র ডাক্তার আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন।
এই খবর চাউর হতে বেশি সময় লাগেনি। নিজেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তাই জুনিয়র ডাক্তাররা আজ সকালেই হাসপাতালের মূল গেটে তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা। নিরাপত্তা যত ক্ষণ না সুনিশ্চিত করা হবে এই অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে তাঁদের দাবি। এক জুনিয়র ডাক্তার ইন্দ্রজিৎ মালিক জানান, “ডাক্তারদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এর পরই তাঁর প্রশ্ন, এ ভাবে মারধর করলে কী ভাবে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব! সেই সঙ্গে তিনি জানান, নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করলে অবস্থান চালিয়ে যাবেন তাঁরা।