বিদ্যাসাগর কলেজে ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুরের প্রায় এক মাস বাদে ফের মঙ্গলবার মূর্তি স্থাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূর্তির আবরণ উন্মোচনে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী, চলচ্চিত্রাভিনেতা প্রমুখ।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বেলা ১টা নাগাদ প্রথমে যান হেয়ার স্কুলের অনুষ্ঠানে। সেখান থেকে চলে যান বিদ্যাসাগর কলেজে। একটি পূর্ণাবয়ব এবং একটি আবক্ষ মূর্তি মূর্তির উদ্বোধন করেন তিনি।
মূর্তির আবরণ উন্মোচন অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, ‘বিদ্যাসাগরকে নিয়ে একটা অনুষ্ঠান আমরা করতাম। তবে এ ভাবে নয়। বিদ্যাসাগরের ২০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে। কিন্তু আজকের এই অনুষ্ঠানটার প্রয়োজন বোধহয় ছিল না। একটা মূর্তি ভেঙে দিয়ে তাঁকে হৃদয় থেকে কখনোই সরিয়ে দেওয়া যায় না। বাংলা খেলনা নয়। কেউ যদি ভাবে বাংলাকে নিয়ে যখন যা ইচ্ছা করবে, তা কখনোই সম্ভব হবে না’। মমতার কথায়, ‘বিদ্যাসাগরের একটা মূর্তি ভেঙে দিয়ে, তাঁকে বাংলার মানুষের মন থেকে মুছে দেওয়া যায় না। রাজা রামমোহন রায়কে গালাগালি করে তাঁকে বাঙালির মন থেকে মোছা যায় না। আমাদের সংস্কৃতি, ঐত্যিকে শেষ করে দেওয়া যাবে না’।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে কলকাতায় অমিত শাহর রোড শো-কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ স্ট্রিট চত্বর। অভিযোগ, ওই রোড শো থেকে বিজেপি কর্মীরা বিদ্যাসাগর কলেজে হামলা চালিয়ে ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভাঙচুর করে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দুটি মোটরবাইকও। ওই দিনই পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে কলেজে পৌঁছন মমতা। ওই দিনই জানিয়ে দেন রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিদ্যাসাগরের মূর্তি স্থাপন করা হবে। তারপর এক মাসের মধ্যে কথা রাখলেন মমতা। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি স্থাপন করলেন তিনি।