ক্ষমতায় আসার পরে গোটা বাংলাকে আমূল বদলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগেই বাংলা হয়ে উঠেছে আরও সুন্দর। মমতার জন্যেই এই বাংলায় আর বিদ্যুৎ ঘাটতি ঘটে না। এবার সুন্দরবনের জন্যে নয়া উদ্যোগ নিল বাংলার বিদ্যুৎ দফতর। ২০২০ সালের মধ্যে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে প্রায় দু’লক্ষ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা।
আর এই উদ্যোগে প্রথম থেকেই সফল বিদ্যুৎ দফতর৷ মাত্র ৮ মাসের মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় প্রায় দেড় লক্ষ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রেকর্ড গড়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা৷ শুধু তাই নয় ৬০ কোটি টাকা অতিরিক্ত অর্থাদায়ও করেছে সংস্থা৷
বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সমুদ্র সংলগ্ন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপেও৷ চলছে আরও বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ৷ যার মধ্যে রয়েছে ক্যানিং মহকুমার সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপ৷ রয়েছে পাথরপ্রতিমার জি প্লটের মত জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপও৷ সাগরের প্রত্যন্ত এলাকা, সুন্দরবনের মৌসুনি, কুমিরমারি, সাতজেলিয়া, মোল্লাখালির মত প্রত্যন্ত দ্বীপেও পৌঁছে গেছে বিদ্যুতের আলো৷
বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার কর্তারা অবশ্য কাজের এই অগ্রগতির কৃতিত্ব কর্মীদের প্রচেষ্টাকেই দিয়েছেন৷ বিদ্যুৎ দফতরের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য বিধায়ক শ্যামল মন্ডল বলেন, “জেলার প্রশাসনিক সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার বিদ্যুতের কাজ নিয়ে পর্যালোচনা করেন৷টাওয়ার বসানো এবং জমি অধিগ্রহণের সমস্যার সমাধান করেই বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার এই সাফল্য”৷
জেলায় ৪৪টি পুলিশ স্টেশন, ৩৩২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ১৯৭২টি গ্রাম রয়েছে৷ বিদ্যুৎ সংস্থা জানিয়েছে, “এই বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে এবং লো ভোল্টেজ, ব্রেক ডাউন কমাতে নতুন ৩৩ কেভির ৪টি পাওয়ার স্টেশন এবং ১১কেভির ৩০টি নতুন লাইট বসানো হয়েছে৷ রয়েছে ১৩৬টি ট্রান্সফর্মার, ১৫০৭২টি ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফর্মার৷ আগে ঝড়বৃষ্টি হলে বা কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকত৷ এখন বিভিন্ন এলাকাকে ছোট লাইনে ভাগ করার ফলে সেই সমস্যা মিটেছে৷