ভোট প্রচারে বেরিয়েই বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’-এর পাল্টা হিসেবে ‘জয় হিন্দ-জয় বাংলা’ স্লোগান তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “জয় শ্রীরাম বাংলার সংস্কৃতি নয়। আমরা বলব, ‘জয় হিন্দ-জয় বাংলা’।” কিন্তু ২৩ মে ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা গেছে, আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলে রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে তারা।
বিজেপির এই জয় শ্রীরাম ক্যাম্পেনের ফলে বিপন্ন হতে চলা বাঙালির সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে এবার কলকাতা জুড়ে ‘জয় হিন্দ’, ‘জয় বাংলা’-র প্রচারে জোর বাড়াচ্ছে রাজ্য সরকার। আর মহানগরীর সর্বত্র সেই স্লোগান ছড়িয়ে দিতে এবার এগিয়ে হল কলকাতা পুর প্রশাসনও। জানা গেছে, দু’-এক দিনের ভিতরেই শহরের বিভিন্ন এলাকা ‘জয় হিন্দ’, ‘জয় বাংলা’ লেখা হোর্ডিংয়ে ছেয়ে যাবে।
পুরসভা সূত্রে খবর, ওই হোর্ডিংয়ে লেখা থাকছে ‘বাংলা মোদের গর্ব’। সঙ্গে বিবেকানন্দ, বিদ্যাসাগর, গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ, সুভাষচন্দ্র বসু, নজরুল, আম্বেদকর-সহ আরও নানা মনীষীর ছবির কোলাজ। ২০ ফুট বাই ১০ ফুট, ২৪ ফুট বাই ১২ ফুট— নানা মাপের কয়েকশো হোর্ডিং শহর জুড়ে লাগানো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য বজায় রাখতেই এই ধরনের প্রচার করতে বাধ্য হচ্ছি।’
অন্যদিকে, বিজেপির জয় শ্রীরাম ধ্বনির পাল্টা হিসেবে মমতার তোলা জয় হিন্দ, জয় বাংলা স্লোগানকে জনপ্রিয় করতে নয়া হোয়াটস অ্যাপ স্টিকার এনেছে তৃণমূল। সোমবারই সেই স্টিকার ছাড়া হয়েছে। যাতে বাংলা-সহ দেশের মনীষীদের ছবিও রয়েছে। গেরুয়া এবং সবুজ স্ক্রিনের ওপর জয় হিন্দ, জয় বাংলা, জয় হে লেখা, এবং সেইসঙ্গে রয়েছে গান্ধী, নেতাজি, ভগৎ সিং, আম্বেদকর, বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, রামমোহন-সহ একাধিক মনীষীর ছবি। যা ইতিমধ্যেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে।