তিনি জাতির জনক। তিনি মহাত্মা গান্ধী। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে নাকি মোটেও ‘মহাত্মা’ ছিলেন না মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। এমনই মারাত্মক উক্তি লেখা হোর্ডিং পড়েছে হাওড়া স্টেশন চত্বরে। যা দেখে ক্ষুব্ধ যাত্রীদের একাংশ। তাঁদের মন্তব্য, যা খুশি তাই শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। মহাত্মাকে অপমান করা এমন হোর্ডিং অবিলম্বে সরানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
হাওড়া স্টেশনের ক্যাব রোডে ঢোকার মুখেই চোখে পড়বে এই হোর্ডিং। তাতে কড়জোরে নমষ্কার করা মহাত্মা গান্ধীর ছবি। নীচে ইংরেজিতে লেখা, Mahatma Gandhi might have been lesser than a ‘mahatma’ when you peek into his presonal life. But he did have a big hand in bringing about indias independence. We pay tribute to Indian leader by re calling, once more, the biggest milestones in his life.’ বাংলায় অনুবাদ করলে যার মানে দাঁড়ায়, ‘মহাত্মা গান্ধীর ব্যক্তিগত জীবনের অন্তরে ঝুঁকলে হয়তো দেখা যাবে তিনি মহাত্মা নন। কিন্তু ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পিছনে তাঁর বড় অবদান ছিল। জাতির জনকের স্মৃতির কথা মনে করে তাঁকে আরও একবার শ্রদ্ধা জানাই আমরা’।
হাওড়া স্টেশনে ঢোকার মুখে এমন হোর্ডিংয়ে চোখ আটকাচ্ছে সবারই। সেখানে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অর্জনে গান্ধীজির বিশেষ ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হলেও প্রথম লাইনে তাঁর সম্পর্কে যা লেখা হয়েছে তা নিয়ে ক্ষুব্ধ যাত্রীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, এমন লিখে রেল কর্তৃপক্ষ গান্ধীজিকে অসম্মান করেছেন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে এই বিষয়ে তাদের দুঃখপ্রকাশ করা উচিৎ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ভারতীয় রেল কেন্দ্র সরকারের অধীন। তাই এমন হোর্ডিং লাগানোর দায় মোদী সরকার এড়াতে পারে না। তাঁদের কথায়, প্রথম থেকেই মোদী সরকার নতুন করে দেশের ইতিহাস লিখতে চাইছে। গান্ধীজির অবদান অস্বীকার করা সেটার প্রথম ধাপ।
এই প্রসঙ্গে হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ভুল কিছু থাকলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।