আগুন লাগার পর চার দিন কেটে গেছে। কিন্তু এখনো জগন্নাথ ঘাটের রাসায়নিক কারখানায় পকেট ফায়ার রয়ে গেছে। এমন চিত্রই ফুটে উঠল মঙ্গলবার। দমকল কর্মীদের আশা আজকের মধ্যে পকেট ফায়ার নেভানোর চেষ্টা করবেন তাঁরা। তবে যেহেতু বাড়ির ছাদ ধ্বসে গিয়েছে তাই আরও একদিন টার্গেট নিয়ে তারা চলছেন।
দমকলের এক আধিকারিক বলেন, “এই ছাদটা পুরোটাই ধ্বসে গিয়েছে। এর জন্য আমরা সোমবার পর্যন্ত ভিতরে যেতেই পারছিলাম না। পকেট করে আমরা কাজ করব ভেবেছিলাম, কারণ কোথায় কোন খাঁজে আগুন জ্বলছে তা উপর থেকে বোঝা সম্ভব নয়। ভিতরে গেলে তবেই তা মূল থেকে ছেদ করা যাবে। আমাদের কর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বিমের ধার দিয়ে গিয়ে গিয়ে ভিতরের যতটা আগুন দেখা যাচ্ছিল নিভিয়েছে। আজকেও তিনটে জায়গা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ধোঁয়া বেরনো মানেই সেখানে ফায়ার আছে। এগুলোর দিকেই এখন আমাদের নজর। ২৪ ঘণ্টা নজরে রাখব। আশা করছি ২৪ ঘণ্টায় পুরো কাজ শেষ হবে”।
শুক্রবার রাত দুটো নাগাদ ভয়ঙ্কর আগুন লাগে রাত আড়াইটে নাগাদ লাগে এই আগুন। তারপর থেকে দমকলের ২০ টি ইঞ্জিনের প্রায় ঘন্টা সাতেকের চেষ্টায় আগুন শনিবার সকাল সাড়ে ন’টা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনে৷ তবে দেখা যায় পুরোপুরি আগুন নেভেনি৷ পকেট ফায়ারের ভ্রুকুটি ছিল। এলাকা বিপদমুক্ত তখনও বলতে পারেনি দমকল। রবিবার রাসায়নিক কারখানার উপরে গিয়ে প্রায় একই ছবি ধরা পরে। স্বাভাবিকভাবেই মঙ্গলবারেও দমকলের একটি ইঞ্জিনকে কাজ করতে দেখা গেল। বহু ব্যবসায়িকে পুড়ে যাওয়া গুদাম থেকে বেঁচে যাওয়া জিনিস নামিয়ে নিয়ে যেতে দেখা গেল এদিন। চারদিনের তফাত একটাই যে এতদিন ভিতরে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। আজ তা সম্ভব হয়েছে। তবে এলাকা এখনও বিপদমুক্ত