তৃণমূলের রাজ্য নেতা তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম দলের কর্মীদের উদ্দেশে এবার নতুন লড়াই শুরু করার ডাক দিলেন। বীরভূম জেলা তৃণমূলের বিশেষ বর্ধিত সভায় সিউড়ি রবীন্দ্রসদনে জেলার পর্যবেক্ষক হিসেবে হাজির ছিলেন তিনি। সভায় হাজির ছিলেন দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, জেলার ২ মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলার সমস্ত তৃণমূল বিধায়ক, পুরপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, দলের সমস্ত ব্লক সভাপতি, দলের জেলা কমিটির সমস্ত সদস্যই।
এই সভা থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিভেদের রাজনীতির অভিযোগ তুলে ফিরহাদ বলেন, “সমাজটাকে তারা সাম্প্রদায়িক বিভেদের প্রাচীর দিয়ে ভাগ করার চক্রান্ত করছে। এটা সত্যিকারের হিন্দুত্ব নয়। ভারতবর্ষের সনাতন হিন্দু ধর্ম যুগে যুগে সকলকে আপন করে নিয়েছে। বাংলায় এখন বলা হচ্ছে, ‘জয় শ্রীরাম’। কেন বলতে ভুলে গেলাম, জয় মা দুর্গা, জয় মা কালী, জয় বাবা তারকেশ্বর”।
দলের কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে ফিরহাদ কর্ণাটক ও উড়িষ্যার উদাহরণ দিয়ে বলেন, “লোকসভা ভোটে কর্ণাটকে বিজেপি ভাল ফল করল, অথচ এক সপ্তাহ পর সেখানে পুরসভা ভোটে তারাই মুখ থুবড়ে পড়ল। ওডিশার মানুষ লোকসভায় মোদিকে ভোট দিল, কিন্তু বিধানসভায় ভোট দিল নবীন পট্টনায়ককে। তাই হতাশার কোনও জায়গা নেই। আমাদের মানুষের কাছে আরও বেশি করে যেতে হবে”। এছাড়াও কলকাতার মেয়র বলেন, “জাহাজ ডুবছে ভেবে ইঁদুররা জলে ঝাঁপ দিয়ে অথৈ জলে ডুবে মরে। কিন্তু নাবিক যদি শক্তিশালী হন, তা হলে তাঁর দক্ষ হাতে হাল ধরে তিনি জাহাজকে বিপদ থেকে মুক্ত করে এগিয়ে নিয়ে যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দক্ষ নাবিক। তাই তাঁর আদর্শের সৈনিকরা কখনও ইঁদুর হতে পারেন না”।
তৃণমূল মানুষের সেবা ছাড়া আর কিছু বোঝে না। তাই সেই দলের সৈনিক হিসেবে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে একটা আবেগ ও গর্ববোধ থাকবে। গ্রামেগঞ্জে প্রত্যেক তৃণমূল কর্মীর মধ্যে এই আবেগ ছড়িয়ে দিতে হবে। এখন বসে থাকার কোনও জায়গা নেই, মুখ লুকিয়ে থাকার কোনও সময় নেই। এক নতুন লড়াই শুরু করতে হবে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম।