বিগত ৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশ সফরে গিয়ে বারবারই নাম না করে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে বিদ্ধ করেছেন নরেন্দ্র মোদী৷ এইবারে কিরঘিজস্তানে হতে চলা সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও সামিটেও এই প্রসঙ্গে মুখ খুলবেন প্রধানমন্ত্রী, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল না কোনও মহলেরই৷ তবে এই ইস্যুতে যেন পাকিস্তানকে আক্রমণ না করা হয়, তার আবেদন জানিয়েছে চিন৷
বেজিংয়ের দাবি এসসিও সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে আক্রমণ করার সঠিক জায়গা নয়৷ চিনের উপবিদেশমন্ত্রী ঝাং হানহুই সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, এই সম্মেলন মূলত আন্তর্জাতিক স্তরে দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির উদ্দ্যেশ্য নিয়ে আয়োজিত৷ কোনও নির্দিষ্ট দেশকে কোণঠাসা করা এই মঞ্চের লক্ষ্য নয়৷ তাই সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে এই মঞ্চে একঘরে করার সিদ্ধান্ত অন্যায় ও অনৈতিক৷
উল্লেখ্য, এই টানাপোড়েনের মধ্যেই বৈঠকে বসতে পারেন ভারত এবং চিনের রাষ্ট্রপ্রধানরা৷ জুলাইতে এসসিও-এর অনুষ্ঠান রয়েছে। সূত্রের খবর, সেই অনুষ্ঠানের মাঝেই বৈঠকে বসতে পারেন তাঁরা৷ সীমান্ত সমস্যা সহ একাধিক বিষয়ে চিনের সঙ্গে সমস্যা রয়েছে ভারতের। এই অবস্থায় ভারত এবং চিনের মধ্যে বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
সেই বৈঠকেও পাকিস্তান প্রসঙ্গ উঠে আসতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের৷ সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কিরঘিজস্তানে উড়ে যাবেন চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিং পিং। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। বিপুল ক্ষমতা নিয়ে ফের দিল্লির মসনদে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দ্বিতীয় মোদী সরকারের মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। দ্বিতীয় মোদী সরকারের আমলে চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এটাই প্রথম সাক্ষাৎ হতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর।
গত বছরের ডিসেম্বরে মোদীর সঙ্গে জি জিং পিং-এর সাক্ষাৎ হয় আর্জেন্টিনার জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে। এই বৈঠকে সবরকম পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেয় চিন। সম্প্রতি মাসুদ আজহার ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে চিন। তবে এমন বন্ধুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি কতদিন বজায় থাকবে সেটাই দেখার।