২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর পর্যালোচনা বৈঠকেই তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন এখন থেকে দল এবং সংগঠনের কাজে আরও বেশি মন দেবেন তিনি। সেই মতো দলীয় বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকের পরে ইতিমধ্যেই দলীয় কাউন্সিলারদের কর্মশালার ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী৷ দলীয় সূত্রের খবর এবার থেকে মানুষের মতামতকে আরও গুরুত্ব দেবে তৃণমূল৷
রবিবার বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে কর্মী সম্মেলনে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘’সংগঠন আরও মজবুত করতে হবে। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আমাদের আস্থা রাখতে হবে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, তাঁর নেতৃত্বেই দল আবার ঘুরে দাঁড়াবে।’’
পার্থ আরও বলেন, ‘‘নির্বাচনে বিজেপি বিভ্রান্তিকর প্রচার করেছে। এখনও বিভিন্ন জায়গায় তারা অশান্তি করছে। খুন করছে। সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে। আমাদের রাজনৈতিকভাবে এর মোকাবিলা করতে হবে।’’
কল্যাণ সঙ্ঘের মাঠে কর্মী সম্মেলনে প্রায় ৪–৫ হাজার কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই শুরু হয় সম্মেলন। পার্থ বলেন, ‘বিজেপি কিছু আসনে জিতেছে ঠিকই, তা বলে ঘাবড়ালে চলবে না। মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছে। যারা আমাদের ভোট দেয়নি, তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।’ এখন থেকে পার্থ বেহালার প্রতিটি ওয়ার্ডে যাবেন। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। স্থানীয় মানুষদের মতামত জানাবার জন্য একটি বাক্স বসানো হয়েছে। বলা হয়েছে, লিখিতভাবে মতামত জানাতে হবে।
কর্মী সম্মেলনে নেতারা বলেছেন, সামনেই বিধানসভা ও কলকাতা পুরসভা নির্বাচন। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ শুরু করতে হবে। অনেক ঘাত–প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই জায়গায় উঠে এসেছেন। তাঁর ওপর আমাদের ভরসা রাখতেই হবে। বক্তব্য পেশ করেন সুব্রত বক্সি। তিনি বলেন, ‘সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা দরকার। মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। তাদের অভাব–অভিযোগ শুনতে হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে।’ এদিনের কর্মী সম্মেলনে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে নেতারা বক্তব্য পেশ করেন। পার্থ বলেন, ‘বুথভিত্তিক নাম জোগাড় করতে হবে।’ সম্মেলনে এ–ও আলোচনা হয়েছে পুরনো কর্মীদের দলে জায়গা দিতে হবে। এঁদের মধ্যে অনেকেই যোগ্য কর্মী রয়েছেন।
বেহালা কল্যাণ সঙ্ঘের মাঠে এদিন কর্মিসভায় ছিলেন কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ মালা রায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, দেবাশিস কুমার, অভিজিৎ মুখার্জি, অশোকা মণ্ডল প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন অভিজিৎ।