গো-রক্ষার নামে এতদিন গোটা দেশের জনগণ গোরক্ষকদের তান্ডব দেখেছে। এবার গরু পাচারকারী সন্দেহে ফের গণপিটুনির ঘটনা ঘটল হরিয়ানায়। বেধড়ক মারধরের পর অভিযুক্ত ৪ ব্যক্তিকে জোর করে মূত্রপান করানোরও অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার ফতেহাবাদ এলাকার দায়র গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দায়র গ্রামে গরু পাচারকারী সন্দেহে ওই ব্যক্তিদের আটক করে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। কিছুক্ষণ বাদে কথায় অসংগতি পেয়ে চারজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আক্রান্তদের বিরুদ্ধে গরু পাচারের অভিযোগ দায়ের করে তদন্তও শুরু হয়েছে।
এদিকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা গরু পাচারের অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছে আক্রান্তরা। তাদের মধ্যে একজন দাবি করে, “আমরা পশুদের মৃতদেহ ভাগাড়ে ফেলার কাজ করি। রবিবার দুটি মৃতদেহ নিয়ে দায়র গ্রামে দিয়ে যাওয়ার সময় ৩০ জন গ্রামবাসী আচমকা আক্রমণ করে। লাঠি দিয়ে আমাদের মারধর করে সব জামাকাপড় খুলে নেয়। জোর করে মূত্র খাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ওরা আমাদের বিরুদ্ধে গো-হত্যার অভিযোগ তুলছে। কিন্তু, আমরা কোনও গরুকে মারিনি।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ওই ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পুলিশ। চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। পরে গ্রামবাসীদের চাপে ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গরু পাচারের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে স্থানীয় থানার এক আধিকারিক সুরজমল বলেন, “রবিবার ফোনে ঘটনাটির কথা জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই চারজনকে গরু পাচারকারী সন্দেহে বেধড়ক মারধর করে বেঁধে রাখা হয়েছে। তাদের পাশে একটি গরু ও বাছুরের মৃতদেহের পাশাপাশি গরুর চামড়াও পড়েছিল। মৃতদেহদুটি বাজেয়াপ্ত করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।”