অবশেষে মিলল বিচার। কাঠুয়া গণধর্ষণ কান্ডের প্রায় দেড় বছর পর দোষী সাব্যস্ত হলেন ৬ জন। তারা হলেন মূল অভিযুক্ত সঞ্জিরাম, তার ছেলে বিশাল, দুজন বিশেষ পুলিশ আধিকারিক দীপক খাজুরিয়া ও সুরেন্দর ভার্মা এবং হেড কনস্টেবল তিলক রাজ। সোমবার তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন পাঠানকোট আদালতের বিচারক।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়াতে এক নাবালিকাকে কয়েকদিন ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা সারা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।গতবছর ৩০ মে আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল। এরপর থেকে বিচারপ্রক্রিয়া চলতে থাকে প্রতিদিন। গত ৬ জুন তা শেষ হয়। অবশেষে সোমবার পাঠানকোট আদালতে এই মামলার রায় দিলেন বিচারক।
গত ৩ জুন পাঠানকোটের বিশেষ আদালতে সাক্ষ্যদান প্রক্রিয়া শেষ হয়। এরপর ১০ জুন রায় দানের দিন ঘোষণা করেন সদর দায়েরা আদালতের বিচারপতি তেজবিন্দর সিং। ঘোষণা অনুযায়ী ১০ জুন সোমবার সকালে কাঠুয়া কাণ্ডে ধৃত ৭ অভিযুক্তের মধ্যে ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে পাঠানকোটের বিশেষ আদালত। আর এক অভিযুক্ত বিশালকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত। ছ’জন দোষীর বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ, খুন এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ছ’জন দোষী ন্যূনতম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা এবং সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেতে পারে। এ দিন সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় পাঠানকোটের বিশেষ আদালত চত্বর। কোনওরকম অশান্তি এড়াতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি এক ভয়ঙ্কর খবর কেঁপে গিয়েছিল গোটা দেশ। উদ্ধার হয়েছিল ৮ বছরের এক কিশোরীর ছিন্নভিন্ন দেহ। জানা গিয়েছিল, জম্মুর কাছে কাঠুয়া জেলায় একটি মন্দিরে চারদিন ধরে আটকে রাখা হয়েছিল ওই কিশোরীকে। চলেছিল লাগাতার ধর্ষণ। সঙ্গে নির্মম অত্যাচার। নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছিল ওই কিশোরীকে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল সারা দেশ। এই ঘটনায় কাঠুয়ার ওই মন্দিরের পুরোহিত সহ চার পুলিশকর্মী, পুরোহিতের ভাইপো এবং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।