সন্দেশখালি, বসিরহাট-সহ রাজ্যে হিংসা ছড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। তা নিয়ে চলছে রাজনীতিও। কখনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রিপোর্ট চেয়ে পাঠাচ্ছে, তো কখনও বার্তা। এমনকী অভিযোগ তোলা হচ্ছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক নেই। এই সাঁড়াশি চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে সরকার ভাঙার চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে বিজেপি সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাকে গুজরাত বানানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিসকে আরও কড়া হতে এদিন নির্দেশ দেন তিনি। সোমবার নবান্নে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের সঙ্গে বৈঠকের পর কোনও গুন্ডামি বরদাস্ত না করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নীতি আয়োগের কোনও ক্ষমতা নেই। তাই নীতি আয়োগের বৈঠকে গিয়ে কোনও লাভ নেই। তিন মাস ভোটের জন্য কাজ অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে। জিএসটি আদায় বেড়েছে ২৬ শতাংশ । প্রায় ২ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকার ঋণশোধ করতে হয়েছে। এই বছরও ৫৬ হাজার কোটির ঋণশোধ করতে হবে। সরকার ভাঙার চক্রান্ত করে আমাকে থামানো যাবে না।’ অর্থাৎ বাংলার সরকার ভাঙতে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আর তাই রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে দিয়ে রিপোর্ট দেওয়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।
এই পদক্ষেপ যে চক্রান্ত করার জন্য তা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিন ষষ্ঠ বেতন কমিশন নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সরকারের কাজের পর্যালোচনা বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়লে যতটা সম্ভব বেতন বাড়ানো হবে। কিন্তু বেতন বাড়াতে গিয়ে রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্পের কোনওটি বন্ধ করতে চান না তিনি। তাঁর দাবি, ‘কমিশন রিপোর্ট জমা করলে যতটা সামর্থ্য আছে ততটা করব। বেশি করতে পারব না। খাদ্যসাথী, সবুজসাথী, কন্যাশ্রী বন্ধ করতে পারব না। সেটা বজায় রেখে যতটা পারি করব।’