গত ২৩ মে ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে আগ্রাসী গেরুয়া শিবির। ক্ষমতা দখলের লোভে আক্রমণাত্মক আচরণ করছে তারা। শুরু হয়েছে খুনোখুনি। যার আঁচ পড়েছে সন্দেশখালিতেও। সেখানে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিলে গুলি চলায় প্রাণ গেছে এক তৃণমূল কর্মীর। এর ফলে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে গোটা এলাকা। নিমতায় তৃণমূল কর্মী খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই এ হেন হিংসার ছবি ফুটে উঠেছে বসিরহাটে।
প্রসঙ্গত, বসিরহাটে শনিবার কর্মীসভা চলাকালীন, হামলা চালিয়ে তৃণমূলকর্মী কায়ুম মোল্লার মাথায় গুলি করা হয়। এরপর বাইরে টেনে এনে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। জানা গেছে, তৃণমূলের পোস্টার খোলা নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত্। হাটগাছিতে বিজেপির লোকজন তৃণমূলের পোস্টার জোর করে খুলতে গেলে, দু-পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। তার জেরেই খুন করা হয়েছে তৃণমূলকর্মী কায়ুম মোল্লাকে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ন্যাজাট। অবস্থা এমনই যে, এখন তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত পরিণত হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতে।
উল্লেখ্য, রবিবার ন্যাজাটে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মদন মিত্র-সহ তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল। নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ক্ষমতা দখলের লোভে আক্রমণাত্মক আচরণ করছে বিজেপি। আর নিহত কায়ুম মোল্লার মায়েরও স্পষ্ট অভিযোগ, দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তন বসুই ঘটনার জন্য দায়ী। তাঁদের উসকানিতেই খুন করা হয়েছে কায়ুমকে। আর তারপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নবান্নকে একটি অ্যাডভাইজারি নোট পাঠানো হয়।
তবে রাতে সেই নোটের বিরোধিতা করেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় তোপ দেগেছে তৃণমূল। গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানে দলের তরফে পার্থ বলেন, ‘চিঠি পাঠিয়ে বাংলার সরকারকে ভয় দেখাতে চাইছে কেন্দ্র। কিন্তু মানুষ এটা মেনে নেবে না।’ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে অপমান করা হয়েছে এই চিঠি দিয়ে। সরকারকে অপমান মানে বাংলার মানুষের অপমান।’