সন্দেশখালির ঘটনায় থমথমে বসিরহাট। তার মধ্যেই বিজেপি-র ডাকা বনধ চলছে সকাল থেকে। চলছে না যানবাহন। সারা মহকুমা জুড়েই বন্ধ দোকানপাট।বাসন্তী হাইওয়েতে দু’একটি সরকারি বাস চললেও, সার্বিক জনজীবন স্তব্ধ। হাড়োয়া রোড স্টেশনে রেল অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। ফলে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত।
রাস্তায় বিজেপি কর্মীদের আস্ফালনের জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভ্যাবলা স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করে বিজেপিকর্মীরা। থমকে যায় হাসনাবাদ লোকাল। সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে ভ্যাবলায় অবরোধের জের পড়ে শিয়ালদা–বসিরহাট শাখায়। বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে যায় বহু লোকাল। চরম ভোগান্তিতে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। টানা দুঘণ্টা অবরোধ চালানোর পর পুলিসের হস্তক্ষেপে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় বিজেপি। অন্যদিকে, বাসন্তী হাইওয়েতেও পথ অবরোধ করেছে বিজেপি কর্মীরা। আপ বা ডাউন লেনে কোনও গাড়ি যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানেও চূড়ান্ত ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।
ইতিমধ্যেই সারা বসিরহাট মহকুমায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। ২০১৭ সালে বসিরহাট মহকুমার একধিক জায়গায় সাম্প্রদায়িক সঙ্ঘের্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময়েও ইন্টারনেট বন্ধ করেছিল প্রশাসন। পুলিশ জানিয়েছে গুজব রুখতেই এই পদক্ষেপ।
অন্যদিকে, সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠক করে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘অ্যাডভাইসরি নোট পাঠিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করা হয়েছে। রাজ্য সরকারকে ভয় দেখানো হচ্ছে। রাজ্য সরকার নিশ্চয়ই এই নোটের বিরুদ্ধে যা বলার বলবে, দলের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে আমরা বিরোধিতা করছি’।