চলতি বিশ্বকাপে নিজেকে আরও পরিণত ব্যাটসম্যান হিসেবে তুলে ধরাই লক্ষ্য ডেভিড ওয়ার্নারের। তাই ক্রিকেটের বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন উন্নতি করার জন্য ব্যাটে চিপ বসালেন ওয়ার্নার। ক্রিকেটীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ‘ব্যাট সেন্সর’। কোন দিক থেকে ব্যাট নামছে অথবা শট খেলার সময় ব্যাটের গতি কতটা, সেই তথ্য সংগ্রহ করার জন্যই বসানো হয়েছে এই চিপ। ২০১৭ সালে ব্যাটে সেন্সর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল আইসিসি। কিন্তু শেষ দু’বছরে তার ব্যবহার খুব চোখে পড়েনি। বেঙ্গালুরুর এক সংস্থা এই সেন্সর চিপ বানায়। চিপ থেকে ডেটা সংগ্রহ করে ‘ক্লাউড স্টোরেজ’-এর মাধ্যমে ভিডিয়ো দেখা যায় মোবাইল অ্যাপে।
বিপক্ষের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতেই নতুন ডিভাইস ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটার। নতুন এই ডিভাইস ব্যাটে থাকার অর্থ কী? ব্যাটের এই সেন্সর প্রয়োজনীয় তথ্য রেকর্ড করে রাখে। যেমন, ব্যাক লিফট অ্যাঙ্গেল, ব্যাটের সর্বোচ্চ গতি। ২০১৭ সালেই আইসিসি ব্যাটে সেন্সর ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল। কিন্তু গত দু’বছরে কেউই প্রায় ব্যাটে সেন্সর ব্যবহার করেননি। নির্বাসিত ছিলেন ওয়ার্নারও। ফলে, বিষয়টা আড়ালে চলে গেছিল।
রবিবার জসপ্রীত বুমরার বলে কীভাবে তাঁর ব্যাট উঠছে, নামছে, ব্যাটের গতি কী সেই তথ্যগুলো সংগ্রহ করে রাখতে চেয়েছেন ওয়ার্নার। ব্যাটের হাতলের ওপরে সেন্সর চিপ লাগানো। ওয়ার্নার যতক্ষণ ব্যাট করবেন, ততক্ষণ সমস্ত তথ্য ওই সেন্সর চিপের মাধ্যমে মোবাইলে একটি বিশেষ অ্যাপে জমা হবে। উদাহরণ হিসেবে যেমন বলা যায়, বুমরার ইয়র্কার সামলাতে গেলে ব্যাট নামানোর গতি ৭০–৭৫ কিমি থাকতে হবে। কিন্তু ওয়ার্নারের সেই গতি ঘণ্টায় ৮৫ থেকে ৯০ কিমি। এই সব তথ্যই জমা হচ্ছে ওই চিপ মারফত।
বুমরার বিরুদ্ধে ওয়ার্নারকে ১২০ থেকে ১২৫ ডিগ্রি কোণে ব্যাট নামাতে হবে। যার অর্থ, প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো ফিল্ডারের সোজাসুজি ব্যাট নামাতে পারলে বুমরাকে খেলতে তেমন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ভুবনেশ্বর কুমারের বিরুদ্ধে এই টেকনিকে খেললে চলবে না। ভুবিকে সামলাতে উইকেটকিপারের সামনে থেকে ব্যাট নামাতে হবে ওয়ার্নারকে। সঙ্গে স্পিনারদের বিরুদ্ধে ব্যাকলিফ্টের অ্যাঙ্গল বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে কমে যাবে ব্যাট নামানোর গতি। প্রাক্তন ভারতীয় উইকেটকিপার দীপ দাশগুপ্ত বলছেন, ‘‘আগে কোচেরা বলতেন স্লিপের দিক থেকে ব্যাট নামাও। অথবা দ্রুত বলের কাছে যাও। এখন ডেটার সাহায্যে ঠিক অ্যাঙ্গলে ব্যাট নামানোর নির্দেশ দিতে পারবেন।’’