ক্রিকেট থেকে তিনি দূরে থাকতে পারেন না। তাই হাজারো বাধা সত্ত্বেও তিনি ঠিক বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে হাজির হয়ে যান। ওভালে বিজয় মালিয়াকে দেখে অনেকেরই চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছিল। তিনি লুকোচুরি খেলেননি। সোজা পথে মাঠে ঢোকেন। বিজয় মালিয়াকে দেখে এগিয়ে যান বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। তবে তিনি কোনও কথা বলতে চাননি। তবে তিনি চুপ থাকলেও দর্শকেরা চুপ ছিলেন না। তাঁকে দেখে সবাই বলতে থাকেন, চোর চোর!
রবিবার লন্ডনের দি ওভাল স্টেডিয়ামে আয়োজিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ভারত–অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন মালিয়া। খেলা শেষে মা ললিতা এবং ছেলে সিদ্ধার্থের সঙ্গে স্টেডিয়াম থেকে বেরনোর সময় প্রবাসী এবং দেশ থেকে খেলা দেখতে যাওয়া ভারতীয় দর্শকরা তাঁদের ঘিরে ধরেন। তারপরই বিজয় মালিয়াকে লক্ষ্য করে ‘চোর হ্যায়’ স্লোগান দেন তাঁরা
মালিয়াকে দেখামাত্র চিৎকার শুরু করেন তাঁরা, ‘চোর হ্যায়, চোর হ্যায়।’ কেউ চেঁচাতে থাকেন, ‘মোদি আসছে আপনাকে ধরতে।’ মালিয়া এই চিৎকারে হকচকিয়ে যান। কিন্তু স্বভাবসিদ্ধভাবেই ভাঙলেও মচকান না তিনি। ভিড়ের মধ্যে তিনি বলতে থাকেন, “ধাক্কাধাক্কিতে মায়ের যাতে আঘাত না লাগে, সেটা নিয়েই আমি বেশি চিন্তিত।” সমর্থকদের চাপে গাড়িতে উঠতেও সমস্যায় পড়েন তিনি। শেষমেশ ওভলের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে কোনওক্রমে গাড়িতে তুলে দেয়। স্যুট-বুট পরা মালিয়া ম্যাচে দেখে ‘চোর’ অপবাদ নিয়েই সেখান থেকে বিদায় নিলেন।
সাদা শার্ট এবং হালকা নীল রঙের ব্লেজার গায়ে হাজির হয়েছিলেন ওভালে। প্রবেশের আগে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে মালিয়া বলেন, ম্যাচ উপভোগ করতেই মাঠে এসেছেন তিনি। ছেলে সিদ্ধার্থ মালিয়াকে নিয়ে ভারতীয় ড্রেসিংরুমের কাছাকাছিই বসেছিলেন ন’হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপির মামলায় অভিযুক্ত কিংফিশার এয়ারলাইন্সের মালিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় তাঁদের ছবি। ফলে কারও জানতে বাকি থাকে না, যে মাঠে হাজির মালিয়া। ম্যাচের পর খানিকটা দেরি করেই বৃদ্ধা মাকে নিয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর হয়তো ধারণা ছিল আশপাশ ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু টিম বাস তখনও ছাড়েনি বলে শ’খানেক ভারতের সমর্থক অপেক্ষা করছিলেন স্টেডিয়ামের বাইরেই।