ভোট মিটে গেলেও মেটেনি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস। এখনও বিভিন্ন জায়াগায় আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল। বাগনানে তৃণমূলের একটি পার্টি অফিসে দুষ্কৃতীরা হামলা চালাল। ঘটনায় ৮ জন তৃণমূল কর্মী–সমর্থক জখম হয়েছেন। শনিবার গভীর রাতে বাগনানের দেউলটির শরৎ রোড এলাকার ঘটনা।
দলীয় কার্যালয়ে ওইসময় ৮–৯ জন তৃণমূল কর্মী–সমর্থক ছিলেন। রাতে দলীয় কার্যালয় পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই মূলত তখন পার্টি অফিসে ছিলেন তাঁরা। সেই সময় রাত ১ টা নাগাদ একটি নম্বরবিহীন কালো রঙের প্রাইভেট গাড়িতে করে কয়েকজন দুষ্কৃতী দেউলটি এলাকায় বম্বে রোডের ধারে তৃণমূলের ওই কার্যালয়ে চড়াও হয়। তারা তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে এসে দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি বোমা ও রাসায়নিক জাতীয় কিছু তরল পদার্থ ছুঁড়তে শুরু করে। ঘটনার জেরে পার্টি অফিসের টিনের চাল ফেটে চৌচির হয়ে যায়, চেয়ার–টেবিল দুমড়ে–মুচড়ে যায়, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের কাচ ভেঙে যায়। ঘটনার জেরে ওইসময় পার্টি অফিসে থাকা ৮ জন তৃণমূল কর্মী–সমর্থক জখম হন।
ঘটনায় আহত তৃণমূল কর্মী–সমর্থকদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃত ব্যক্তিকে টানা জেরা করা হচ্ছে। তাকে জেরা করে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে চন্দ্রকোনা টাউনে এক তৃণমূল নেতাকে মারধর এবং তাঁর দোকান ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হল ব্যাপক উত্তেজনার। আক্রান্ত নেতার নাম সনাতন দন্ডপাট। গত ২৩ মে লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই তাঁকে হুমকি দেওয়া শুরু হয়। তাঁর অভিযোগ গতকাল সকালে তিনি দোকানে বসেছিলেন, সেই সময়ে কয়েকজন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁর ওপর চড়াও হয়। রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় দোকানেও।
আক্রান্ত ওই নেতার মেয়ে তাঁকে বাঁচাতে এলে তাঁর ওপরেও হামলা করা হয়। তাঁদের দুজনকেই পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন।