সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের তৃতীয় ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। এ বারের টুর্নামেন্টে হাসিম আমলারা যতই খারাপ খেলুন তাঁদের দুর্বল ভাবা মারাত্মক ভুল বলে মনে করেন লয়েড। তাই ম্যাচের আগে বারবার সতর্ক করে দিচ্ছেন দলকে৷
ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও ভারত— বিশ্বকাপে টানা তিনটি ম্যাচে হেরে ব্যাকফুটে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করতে হলে বাকি ছ’টি ম্যাচে জিততে হবে, এই লক্ষ্য নিয়েই সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে প্রোটিয়ারা। ক্যারিবিয়ানরা প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতলেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার মেনেছে। তবে, এই হারের নেপথ্যে রয়েছে নিউজিল্যান্ডের আম্পায়ার গাফানির জঘন্য আম্পায়ারিং। তাই জ্যাসন হোল্ডারদের অবস্থা হল এখন খোঁচা খাওয়া বাঘের মতো। তাই, ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল সমৃদ্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কাজটি খুব সহজ হবে না, তা বলাই বাহুল্য। আর এই ম্যাচের আগে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে অবসর ভেঙে এ বি ডিভিলিয়ার্সের জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাওয়ার প্রসঙ্গ।
ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে সাংবাদিকদের এই ‘ডিভিলিয়ার্স’ বাউন্সারই সামলাতে হল দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ওটিস গিবসনকে। প্রশ্নবাণের সামনে কার্যত অসহায় বোধ করছিলেন গিবসন। হতাশ গিবসনকে বারবার বলতে শোনা যায়, ‘ডিভিলিয়ার্স প্রসঙ্গ এখন অতীত। আমাদের ভাবনায় এখন শুধুই বিশ্বকাপ।’ তবু নাছোড় সাংবাদিকদের সামনে গিবসন শেষপর্যন্ত স্বীকার করে নেন যে, এই বছরের গোড়ায় তাঁর সঙ্গে ডিভিলিয়ার্সের কথা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এবি আমাকে ফোন করেছিল। সম্ভবত, বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণার দিন সকালেই ফোনটা এসেছিল। এতদিন আগের কথা মনে রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু, এটুকু বলতে পারি, খুব দেরি হয়ে গিয়েছিল। কারণ, আমরা বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত দল বেছে নিয়েছিলাম। ডিসেম্বর পর্যন্ত তাও এ নিয়ে চিন্তাভাবনার অবকাশ ছিল। এবি যদি সত্যিই দেশের হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে চাইত, তাহলে ও ভালোভাবেই জানত যে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওই ১০টি ম্যাচ আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, মার্চের পরে বিশ্বকাপের আগে পর্যন্ত খুব বেশি ম্যাচ প্র্যাকটিসের সুযোগ আমাদের সামনে ছিল না।’ ওটিস গিবসন অবশ্য এও বলেছেন, ‘আমি মনে করি, অনেকেই চেয়েছিল এবি বিশ্বকাপে দেশের হয়ে খেলুক।’
প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘ছেলেরা যেন মনে রাখে, সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকা মরিয়া চেষ্টা চালাবে। কারণ আমাদের কাছে হারলে ওদের শেষ চারে খেলার আশা বিশেষ থাকবে না। তাই সহজে দক্ষিণ আফ্রিকা হার মানবে না। আমাদেরও যে কারণে অতিরিক্ত সতর্ক হয়ে খেলতে হবে।’’ লয়েডের কথা, ‘‘দেখা দরকার, অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে ঠিক কোথায় কোথায় আমাদের ভুলটা হয়েছিল। আমার মনে হয়েছে, হারের কারণ শেষ দিকে আমাদের বোলারদের ভাল বল করতে না পারা। এটা কিন্তু এক ধরনের শৃঙ্খলাহীনতা। অথচ রাসেলরা সত্যিই দারুণ করেছিল। বারবার কিন্তু এটা হতে দেওয়া যাবে না।’’