বিশ্বকাপের ম্যাচে ইংল্যান্ডের চাপানো ৩৮৭ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা মাথায় নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। শুরু থেকেই ইংল্যান্ডের পেসার জোফ্রা আর্চার ধারালো বোলিং করতে থাকেন। যার জেরে শুরু থেকেই সমস্যায় পড়তে থাকেন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশের ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম ডেলিভারি ১৫৩ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতিতে করেন আর্চার। বাংলাদেশের সৌম্য সরকার সেই ডেলিভারিতে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। ক্লিন বোল্ড হন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত এটাই দ্রুততম ডেলিভারি। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক একটি ডেলিভারি করেছিলেন যার গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫২ কিমি।
এটাই বিশ্বকাপের দ্রুততম ডেলিভারি। জোফ্রা আর্চারের সেই ডেলিভারি উইকেট তো ভাঙলই। তার পর বল গিয়ে পড়ল সোজা বাউন্ডারির ওপারে। সচরাচর এমনটা দেখা যায় না। অনেক সময় কোনও বোলারের ডেলিভারি উইকেট ভাঙে। বল গিয়ে মাঠের এপাশ-ওপাশ আছড়েও পড়ে। কিন্তু উইকেট ভেঙে ডেলিভারি বাউন্ডারির ওপারে আছড়ে পড়তে সচরাচর দেখা যায়নি।
আর্চারের সেই ডেলিভারি সৌম্য সরকারকে বিট করে উইকেটের উপরের অংশে গিয়ে লাগে। তার পর উইকেটের পিছন দিক দিয়ে উড়ে গিয়ে পড়ে বাউন্ডারির ওপারে। আর্চারের ডেলিভারির গতি দেখে হতভম্ব হয়ে যান বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। উইকেটের পিছন থেকে বাউন্ডারি লাইনের দূরত্ব ছিল ৫৪ মিটার। অর্থাত্, উইকেট ভাঙার পর আর্চারের সেই ডেলিভারি ৫৪ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে।