বড় পরীক্ষার মধ্যে পড়তে চলেছে বিরাটের হার-না-মানা মনোভাব। কারণ, ঠিক সময়ে ছন্দে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া। গত বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জিততে শুরু করেছে। রবিবার ওভালে যে দল জিতবে, তাদের কাছে কিন্তু সেমিফাইনালের রাস্তাটা আরও সহজ হয়ে যাবে৷
অস্ট্রেলিয়া কিন্তু বরাবর বিপক্ষ দলের অধিনায়ককে চাপে ফেলার চেষ্টা করে। সে ধরনের পরিস্থিতিতে কোহলি কী ভাবে নিজেকে সামলায় সেটাই দেখার। মেজাজ হারালে কিন্তু ওরা আরও চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করবে। তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ভারত অধিনায়ককে। সেই সঙ্গে উদ্বেগে রাখবে অস্ট্রেলীয় পেস বিভাগ।
অ্যারন ফিঞ্চের দল অনেকটাই নির্ভর করবে মিচেল স্টার্কের উপর। মনে হয় না বাকিরা ভারতীয় টপ অর্ডারকে খুব একটা চাপে ফেলতে পারবে। শুরুর কয়েকটি ওভারে স্টার্কের ঝড় যদি সামলানো যেতে পারে, তা হলে ভারতীয় ব্যাটিংকে থামানো কঠিন।
ভারত ও অস্ট্রেলিয়া কিন্তু শেষ ম্যাচ জিতে খেলতে নামছে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়াকে দেখে বোঝা গিয়েছে ওরা অপ্রতিরোধ্য নয়। নেথান কুল্টার-নাইল সেই ইনিংস না খেললে দুই ম্যাচে হয়তো চার পয়েন্ট হত না অস্ট্রেলিয়ার। ভাগ্যও কিছুটা সঙ্গ দিয়েছে ওদের।
এই ম্যাচে স্পিনও বড় ভূমিকা নিতে চলেছে। এ দিকে কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চহাল ভাল শুরু করেছে। বিপক্ষে অ্যাডাম জ়াম্পাও উইকেটের মধ্যে রয়েছে। মাঝের ওভারে তাদের কাজ হবে রান আটকে রাখা। সে কাজটি যে দল সব চেয়ে ভাল করবে, তারাই এগিয়ে থাকবে।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বৈরথের এটাই বিশেষত্ব। শুধুমাত্র বড় ম্যাচ হিসেবে দেখলে চলবে না। এই ম্যাচের ফলের উপরে নির্ভর করে প্রতিযোগিতার ভবিষ্যৎ। দ্বৈরথের বিজয়ী দলের প্রাপ্তি দু’পয়েন্টের চেয়ে অনেক বেশি। একেবারে অন্য ছন্দ ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে শুরু করে এই দ্বৈরথের বিজয়ী দল। রবিবার ভারত কিন্তু সেই সুযোগটাই পাবে। তবে বিরাটদের কিছুটা সাবধানেই থাকতে হবে৷