আজ বিশ্বকাপের ২২ গজ পরিণত হতে চলেছে যুদ্ধক্ষেত্রে৷ আর কিছুক্ষণ পরেই বহু প্রতীক্ষিত ভারত-অষ্ট্রেলিয়া ম্যাচ৷ কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল এক দুর্ঘটনা৷ নেট অনুশীলনের সময় ওয়ার্নারের শটে আহত এক বোলার৷
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে মাথায় আঘাত লাগার ঘটনা নতুন নয়। সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটেছিল ২০১৪ সালে। ঘরোয়া ম্যাচে মাথায় আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয়ে টেস্ট ক্রিকেটার ফিল হিউজের। ঘটনাচক্রে সেই ম্যাচেও খেলেছিলেন ওয়ার্নার।
ডেভিড ওয়ার্নারের সোজা ব্যাটে প্রচণ্ড জোরে মারা শটে মাথায় আঘাত পেলেন এক নেট বোলার। ঘটনায় ভয় পেয়ে যান ওয়ার্নার নিজেই। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান আহত বোলারের কাছে। আতঙ্কিত অস্ট্রেলিয়া বন্ধ করে দেয় অনুশীলন৷
যতক্ষণ মাঠে সেই বোলারের চিকিৎসা হয়েছে, হতচকিত ওয়ার্নার তাঁর পাশেই বসে ছিলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ফাস্ট বোলারের নাম জয়কিষাণ প্লাহা। বল মাথায় লাগার পরে মাঠে পড়ে তিনি যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। মাঠের ধারে থাকা অস্ট্রেলিয়ার গোটা মেডিক্যাল দলই সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করে।
কিছুক্ষণের মধ্যে আহত বোলারকে স্ট্রেচারে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অ্যাম্বুল্যান্সে উঠতে উঠতে জয়কিষাণ নিজেই অবশ্য বলেন, ‘‘আমার মাথায় লেগেছে। এখন ভাল আছি। আমার নাম জয়কিষাণ। জোরে বল করি।’’ মাঠে থাকা আইসিসি-র ভেন্যু ম্যানেজার মাইকেল গিবসন পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ঘটনার সময় ওর জ্ঞান ছিল। চোট পাওয়ার পরে মুখে হাসি নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। আমরা কোনও ঝুঁকি নিইনি। আমার ধারণা, অন্তত ২৪ ঘণ্টা ওকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।’’
ঘটনার বেশ খানিকক্ষণ পরে অস্ট্রেলিয়া আবার অনুশীলন শুরু করে। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ঘটনার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার পরে ডেভ (ওয়ার্নার) রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিল। তবে আমরা খবর পেলাম বাচ্চা ছেলেটা (জয়কিষাণ) এখন ভাল আছে। অবশ্য ডাক্তারেরাই সবকিছু নিয়ে আরও ভাল বলতে পারবেন। এটা ঘটনা যে মারাত্মক জোরে বলটা ওর মাথায় লাগে। আমরা সবাই এখন ওর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’’ নেট বোলারদের কী আরও নিরাপত্তা দেওয়া উচিত? এমন প্রশ্নে ফিঞ্চের মন্তব্য, ‘‘নেটে এ ভাবে কারও আঘাত পাওয়া বিরল ঘটনা। অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনকও। এ সব ক্ষেত্রে উপস্থিত মেডিক্যাল কর্মীরাই যা করার করেন। আজ যা দারুণ ভাবে করেছে আমাদের দলের নিজস্ব মেডিক্যাল বিভাগ।’’