আগামী মঙ্গলবার শহরে দ্বারোদঘাটন হতে চলেছে আইটিসির দ্বিতীয় সুপার-লাক্সারি হোটেল, আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গল। সংস্থার চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জীব পুরীর উপস্থিতিতে নতুন হোটেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে। যে হোটেল বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে এবং বাংলার তুলনাহীন আতিথেয়তার প্রতি এটা তাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য বলে জানিয়েছেন আইটিসি কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০২ সালে শহরে প্রথমবার পা রেখেছিল আইটিসি সোনার বাংলা। সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, ব্যবসা সম্প্রসারণের অঙ্গ হিসেবেই এই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক বিলাসবহুল হোটেল খোলা হচ্ছে। যার সূত্র ধরেই এরপরে অমৃতসর, ভুবনেশ্বর এবং কাটরায় ওয়েলকাম হোটেলস-এর শাখা খোলা হবে।
বাইপাসের ধার দিয়ে যাওয়ার সময় এই নির্মীয়মাণ রয়্যাল বেঙ্গলের স্থাপত্য নজর কেড়েছে অনেকেরই। ৪.১৬ লক্ষ বর্গফুটের উপর নির্মিত এই হোটেলের শিখরের উচ্চতা সত্যিই গগনচুম্বী, ৪৩৬.৩৫ ফুট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরব আমিরশাহী, বাহামা থেকে ম্যাকাও, বিশ্বের এমনই ১৬০টি দেশে বিলাসবহুল হোটেল নির্মাণের পালক তাদের আস্তিনে রেখে এই রয়্যাল বেঙ্গলের গঠনশৈলী বানিয়েছে বিশ্বখ্যাত উইম্বার্লি অ্যালিসন টং অ্যান্ড গু। হোটেলের অভ্যন্তরের সাজসজ্জার ভার ছিল উইলসন অ্যাসোসিয়েট-এর উপর।
এক পলকে রয়্যাল বেঙ্গলের অন্দরে ঢুঁ মারতে গেলে জানা যাবে, মোট ৪৫৬টি ঘর এবং স্যুট থাকছে শহরের নবতম আইকনে, যার মধ্যে ৩৭৪টি ঘর এবং স্যুট (যার মধ্যে ১০৪টি বিলাসবহুল স্মার্ট রুম), ৮২টি সার্ভিসড অ্যাপার্টমেন্ট, ১২টি রেস্তোরাঁ এবং ৫,৬৩০ বর্গমিটারের বিপুল ব্যাঙ্কোয়েট-সহ ১৫টি মিটিং ভেন্যু।
এ তো গেল মাথা গোঁজার ঠাঁই। অতিথিদের রসনা তৃপ্তির জন্য রয়্যাল বেঙ্গলে থাকছে ‘গ্র্যান্ড মার্কেট প্যাভিলিয়ন’, ‘রয়্যাল ভেগা’, ‘ওত্তিমো কুচিনা ইটালিয়ানা’, ‘দার্জিলিং লাউঞ্জ’ এবং ‘দ্য ব্রাস রুম’-এর বিকল্প, প্রত্যেকে নিজের নিজের মেনুতে বাকিদের টেক্কা দিতে প্রস্তুত। এর প্রত্যেকটির মধ্যে থাকছে পৃথক পৃথক একাধিক কাউন্টার।
তবে রয়্যাল বেঙ্গল-এর অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে এর মোট ৬১,০০০ বর্গফুটের বিশাল ব্যাঙ্কোয়েট, যার বিশেষ দ্রষ্টব্যের মধ্যে থাকছে ১৬,৪০০ বর্গফুটের পিলারবিহীন ব্যাঙ্কোয়েট হল।
উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বিশেষ ছাড়ের সুযোগ চলছে রয়্যাল বেঙ্গলের বুকিংয়ে। হোটেলের ওয়েবসাইট থেকে চলতি মাসের শেষের দিকে ঘর বুক করতে গেলে ১০,৫০০-১৫,২৫০ টাকা (কর ছাড়া) খরচ করতে হবে। এ হেন হোটেলে রাত কাটাতে গেলে এই টাকা দিতে প্রথমে কিন্তু-কিন্তু লাগলেও, বেরোনোর সময় তা আর মাথায় থাকবে না, এমনটাই দাবি করছেন আইটিসি কর্তৃপক্ষ।