প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে জিতলেও পরের ম্যাচেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। তবে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করে হেরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এ দিন বোলারদের ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন শাকিবরা। তবে শাকিব একাই লড়লেন বটে। কিন্তু তাঁর সেঞ্চুরি কাজে এল না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশ।
এ দিন কার্ডিফে টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজা। প্রথম থেকেই দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো ছিলেন দুরন্ত মেজাজে। শুরু থেকেই মারকুটে ব্যাটিং করেন তাঁরা। বাংলাদেশের কোনও বোলারই তাঁদের সামনে দাঁড়াতে পারছিলেন না। সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়েন দুই ব্যাটসম্যান।
বেয়ারস্টো ৫১ রান করে আউট হলেও নিজের খেলা চালিয়ে যান জেসন রয়। এ দিন তিনি সেঞ্চুরি করেন। সঙ্গ দেন জো রুট ও জস বাটলার। জো রুট ২১ ও বাটলার ৬৪ করে আউট হন। শেষ পর্যন্ত ১২১ বলে ১৫৩ রান করে মেহেদি হাসানের বলে আউট হন রয়। অধিনায়ক মরগ্যান ৩৫ করেন। তবে রান পাননি বেন স্টোকস। শেষদিকে ওকস ১৮ ও প্লাঙ্কেট ২৭ করে অপরাজিত থাকেন। ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৮৬ তোলে ইংল্যান্ড।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। সৌম্য সরকার ২ ও তামিম ১৯ করে আউট হয়ে যান। তারপর বাংলাদেশের হাল ধরেন সেই শাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। পার্টনারশিপে ভালোই ব্যাট করছিলেন তাঁরা। কিন্তু ৪৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান মুশফিকুর। রান পাননি মহম্মদ মিঠুনও।
একা কুম্ভ হয়ে টিকে ছিলেন শাকিব। তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন মেহমুদুল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন। কিন্তু বড় পার্টনারশিপ গড়তে ব্যর্থ হন তাঁরাও। শাকিব ১১৯ বলে ১২১ করে আউট হন। শেষ পর্যন্ত ৪৮.৫ ওভারে ২৮০ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের হয়ে আর্চার ও স্টোকস ৩ টি করে উইকেট নেন।
এ দিনের হারের ফলে পরপর দু ম্যাচ হেরে কিছুটা পিছিয়ে পড়ল বাংলাদেশ টিম। অন্যদিকে আগের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারের পর দারুণভাবে ফিরে এলে আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড।