একসময় এমনই অবস্থা ছিল পৃথিবীর কিছু দেশে। একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী কোনো রাষ্ট্রনেতার বিরুদ্ধে মুখ খুললে রাতারাতি তাঁকে খুঁজে পাওয়া যেত না। কিন্তু আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এমন ঘটনা বিরল। তবে ভারতবর্ষের মতো দেশে আজও এই ঘটনা ঘটছে, যা সত্যিই আশা করা যায় না। প্রসঙ্গত, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে এমনই ঘটনা ঘটেছে সম্প্রীতি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার অপরাধে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন এক সাংবাদিক।গ্রেপ্তার করা হয়েছে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মালিক এবং সম্পাদককে।
কেন এই কান্ড? সবই এক মহিলাকে কেন্দ্র করে। যে মহিলার দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক আছে এবং তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বিয়ে করতে চান। কানপুরের ওই মহিলার নাম হেমা সাক্সেনা। ওই মহিলা নিজেকে যোগী আদিত্যনাথের প্রেমিকা বলে দাবি করছেন। ওই মহিলা কানপুরের নবাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে যোগী আদিত্যনাথের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক আছে বলে দাবি মহিলার। কদিন আগে উত্তরপ্রদেশের সরকারি আবাসনের সামনে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে এই দাবি করেছিলেন হেমা। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরা ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন। এমনকী যোগীকে তিনি নিয়মিত চিঠিও লেখেন। কিন্তু, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এ সম্পর্ক গোপন রাখতে চান। তাই বাধ্য হয়ে তাঁকে প্রকাশ্যে আসতে হয়েছে বলে দাবি হেমার।
আর ওই মহিলার এই ভিডিও নিয়ে কথা বলার দায়ে দিল্লীর এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মহিলার টক শো সম্প্রচার করায় এক চ্যানেলের সম্পাদক এবং মালিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো চাপানউতোর চলছে লখনউ-এর রাজনীতিতে। উত্তরপ্রদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নের মুখে বলে দাবি বিরোধী শিবিরের। ওই সাংবাদিক এবং টিভি চ্যানেলের দুই অধিকর্তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন বুদ্ধিজীবীদের একাংশও। বিরোধীদের বক্তব্য, আদিত্যনাথের ‘যোগী’ সাজ আসলে একটি মুখোশ। এখনও এই একনায়কতন্ত্র মনোভাবকে খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না ওয়াকিবহাল মহল।