একসময় এমনই অবস্থা ছিল পৃথিবীর কিছু দেশে। একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী কোনো রাষ্ট্রনেতার বিরুদ্ধে মুখ খুললে রাতারাতি তাঁকে খুঁজে পাওয়া যেত না। কিন্তু আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এমন ঘটনা বিরল। তবে ভারতবর্ষের মতো দেশে আজও এই ঘটনা ঘটছে, যা সত্যিই আশা করা যায় না। প্রসঙ্গত, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে এমনই ঘটনা ঘটেছে সম্প্রীতি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটা পোস্ট লেখার পর থেকে উধাও হয়ে গেলেন এক সাংবাদিক। কেউ কেউ বলছে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কোথায় কীভাবে আছেন তিনি, সেটা এখনও স্পষ্ট হচ্ছে না।
প্রশাসন সূত্রে খবর, লখনউয়ের হজরৎগঞ্জ থানায় অভিযুক্ত সাংবাদিক, প্রশান্ত কানোজিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই বিষয়ে কানোজিয়ার স্ত্রী, জাগীশা অরোরার বক্তব্য, ‘দু’জন ব্যক্তি সাধারণ পোশাকে পুলিশের পরিচয় দিয়ে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। এর আগে ফ্রিলান্সার হিসেবে কানোজিয়া দা ওয়্যার নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতেন।’ কানোজিয়াকে যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা পুলিশ এখনও লিখিতভাবে নিশ্চিত করেনি।
কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা গিয়েছে, এক মহিলা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কার্যালয়ে গিয়ে যোগীর সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্কের কথা সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছেন। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। বিরোধীদের বক্তব্য, আদিত্যনাথের ‘যোগী’ সাজ আসলে একটি মুখোশ। যদিও মহিলার অভিযোগের সত্যতা এখনও যাচাই হয়নি। কানোজিয়া ফেসবুকে যা লিখেছিলেন, তা মূলত ওই ভিডিওটিকে কেন্দ্র করে। আর তারপরই একপ্রকার নিরুদ্দেশ হয়ে গেছেন এই সাংবাদিক। এখনও এই একনায়কতন্ত্র মনোভাবকে খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না ওয়াকিবহাল মহল।