৩০ মে নতুন মন্ত্রিসভা শপথের দিনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল যে, জেডিইউ এর সাথে বিজেপির সম্পর্কের রাশ ক্রমশ আলগা হচ্ছে৷ ক্রমশঃ তা স্পষ্ট হতে থাকে৷ রবিবার এনডিএ শরিক জেডিইউ জানিয়ে দিল বিহারের বাইরে তারা এনডিএ জোটের শরিক নয়৷ যা শাসক দল বিজেপিকে বার্তা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷
পাটনায় বসেছে জেডিইউ এর কর্ম সমিতির বৈঠক৷ মধ্যমণি অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার৷ হাজির ছিলেন বশিষ্ঠ নারায়ণ সিং এবং কেসি ত্যাগির মতো জেডিইউ দলের শীর্ষ নেতৃত্বরাও। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, বিহারের বাইরে এনডিএ-এর শরিক নয় জেডিইউ৷ এছাড়াও জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামী ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে ভোট রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড ও দিল্লি বিধানসভার৷ সেসব রাজ্যে নিজেদের শক্তির উপর ভর করে একাই লড়বে জেডিইউ৷ জোট করলেও তার সঙ্গে এনডিএর কোনও সম্পর্ক নেই৷
দ্বিতীয় মোদী মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি নীতীশের দলের কোনও সাংসদই৷ সূত্রের খবর, তাদের দু’টি পূর্ণমন্ত্রীর দাবি মেনে নেয়নি বিজেপি৷ তার জেরেই মন্ত্রীসভায় মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করতে রাজি হয়নি জেডিইউ প্রধান৷ তবে শপথে হাজির ছিলেন নীতিশ৷ দল এনডিএ জোটকে সমর্থন করবে বলেও আশ্বাস দেন৷ পরে অবশ্য পাল্টা দিতেও কসুর করেননি তিনি৷ বিহারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে জোট সঙ্গী বিজেপিকে একটা আসনও দেননি নীতিশ৷ যা নিয়ে উভয় দলের অন্দরেই টানাপোড়েন কম নয়৷
তবে বিহারের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন৷ সেটা বুঝেছেন দূরদর্শী মুখ্যমন্ত্রী। তাই রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে জোট ভাঙার পক্ষপাতি নয় তিনি৷ কারণ, একদিকে দেশে গেরুয়া হাওয়া রয়েছে, অন্যদিকে বিরোধীরা ‘মহাগঠবন্ধন’ করলে মুশকিলে পড়তে পারে জেডিইউ৷ এই অবস্থায় তাই পদ্ম শিবিরের ওপরেই ভরসা রাখছেন নীতিশ কুমার৷ এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷