আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত প্রকাশ্যে সতর্ক করে বলেছিলেন, সরকারের ত্রুটি ধরা পড়লে সঙ্ঘ ইতিবাচক পরামর্শ দেবে। ক্যাবিনেট কমিটি থেকে সকালে রাজনাথ সিংকে বাদ দিয়ে আবার রাতেই ফিরিয়ে আনার নেপথ্যে সেই সঙ্ঘেরই ‘হাত’ দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
মোদী মন্ত্রিসভার যে সব কমিটি গঠন করেন, তার সিংহ ভাগেই রাখা হয়নি রাজনাথকে। কিন্তু অমিত শাহ রয়েছেন সব ক’টিতে। এমনকি রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভার কমিটি থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছিল রাজনাথকে। দিনভর বিতর্কের পরে নতুন তালিকা প্রকাশ করে রাজনাথের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তারপর থেকেই সঙ্ঘ তত্ত্ব সামনে আসছে।
ঘরোয়া মহলে বিজেপির কিছু নেতার মন্তব্য বিদ্রোহের বার্তাও ব্যে আনছে। তাঁদের কথায়, ‘আসলে মোদী-অমিত জুটির মুখোশ এক সপ্তাহেই খুলে গেল। রাজনাথ সিংহও সতর্ক হয়ে গেলেন। সঙ্ঘ নেতৃত্বও। দলে চাপা অসন্তোষ তো ছিলই। গত কালের ঘটনায় ভবিষ্যতের লড়াইয়ের ভিতটা তৈরি হয়ে থাকল’।
এরপরেই মোদীকে আড়াল করে বিজেপি নেতারা বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জানতেন না রাজনাথের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। নজরে আসতেই সংশোধন করেছেন’। কিন্তু এই তত্ত্ব ধোপে টিকছে না। উল্টে প্রশ্ন উঠছে, প্রধানমন্ত্রী যদি না জানেন, তা হলে রাজনাথের ডানা ছাঁটার সিদ্ধান্ত কি অমিত শাহের? সরকারে অমিত যে ভাবে ধাপে ধাপে ক্ষমতাধর হয়ে উঠছেন, তাতে কি মোদীর সঙ্গেও তাঁর দূরত্ব হচ্ছে? তা না হলে মন্ত্রিসভার কমিটির সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর ‘অজান্তে’ হয় কী করে? জেডি(ইউ)-এর পবন বর্মার ঠেস – ‘অমিত শাহকে কেন উপপ্রধানমন্ত্রী করে দিচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী?’ গত কাল থেকেই দিল্লিতে একটি রসিকতা মুখে মুখে ঘুরছে, ‘অমিত শাহ প্রথমে লালকৃষ্ণ আডবাণীর আসন কেড়েছেন, তার পরে রাজনাথের মন্ত্রক আর এখন অটলবিহারী বাজপেয়ীর ঘরও কব্জা করতে চলেছেন’।